মাছ | Fishes

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কথারস্ত ও শ্রেণীবিভাগ 5 ল্যামপ্রিরা এই মুখের সাহায্যে অন্য মাছের শরীরে আটকে থেকে তার রক্ত চুষে খায়। গোলমুখোদের 7 থেকে 14 জোড়া PATH ; অন্যান্য মাছের ফুলকো থেকে সেগুলো খানিকটা আলাদা ধরনের-_পেশির তলায় লুকোনো, এক সারি ছিদ্রপথ মারফত গলনালির সঙ্গে US | রা ল্যামপ্রিরা সমুদ্রের অধিবাসী; উত্তর আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপের উপকূল ধরে তারা ছড়িয়ে আছে। সবচেয়ে পরিচিত জাতটি হল সামুদ্রিক ল্যামপ্রি, পেট্রোমাইজোন (Petromyzon) | এরা সমুদ্র ছেড়ে নদীর উজান বেয়ে এসে তলদেশের বালিতে ডিম পাড়ে। নুড়িপাথর সরিয়ে বাপ-মা একটা বাসা-মতো তৈরি করে। ডিম থেকে যে শূককীট বেরোয় তা অনেক দিক দিয়েই বয়স্ক মাছের থেকে আলাদা। আ্যামোসিট (Ammocoete) নামের এই PSS হল চাকুর মতো আকৃতিবিশিষ্ট এক অন্ধ জীব, তার মুখের চারপাশে ঘোমটা তিন-চার বছর তা নদীতে থাকে এবং এই সময়ের মধ্যে আকারে বাড়লেও যৌন পরিণতি ATS করে না। SSI পয্যায়ের শেষে হঠাৎ তার অবয়ব ও গড়নে আসে বিপুল পরিবর্তন, সে তৈরি হয় তার পিতামাতার বাসস্থান সমুদ্রে দিয়ে যাওয়ার Say | আ্যামোসিট এবার পরিণত হয় তরুণ পেদট্্রোমাইজোনে, সে সামুদ্রিক শ্লীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয় এবং মুখ দিয়ে অন্য সামুদ্রিক মাছের রক্ত খেয়ে বেঁচে ATS | জননেন্দ্রিয় বিকশিত হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যেই পূর্ণবয়স্ক পেট্রোমাইজোন রওনা হয় মিঠে-জলের দিকে তার বিপদসঙন্কুল যাত্রায়। ডিম পাড়ার জন্য বয়স্ক মাছের এই উজানী প্রব্রজনকে বলে আনাদ্ররোমাস (anadromous) aged, সামুদ্রিক ল্যামপ্রির জীবনচক্র এই রকম প্রব্রজনের বেশ ভাল HBTS | ল্যামপ্রির চোষণকারী মুখ একটা চওড়া বাটির মতো, তার গোল কানা ঘিরে রয়েছে একটা বেড়। চোয়াল নেই, তবে বাটির ভিতর দিকের দেওয়াল জুড়ে শিংজাতীয় পদার্থে তৈরি হলদে-হলদে HTS | পুরো বন্দোবস্তটাই একটা চমৎকার চোষণযনস্ত্রের মতো, যা দিয়ে অন্য মাছের গায়ে লেগে থেকে তাদের রক্ত খেয়ে ল্যামপ্রি বেঁচে থাকতে পারে। এর একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হল একটি মাত্র নাসারস্ব, যা দিয়ে জল ঢোকে বা বেরোয়। প্রাণিতত্ত্ববিদদের বিশ্বাস, এটা হল জলের গুণাগুণ পরীক্ষার যন্ত্র, আর মুখ হল তলদেশ আঁকড়ে থাকার উপায়। দেহের দু পাশে, চোখের পিছনে, প্রত্যেক দিকে সাতটি করে গোলাকার ফুলকো-রস্ক। চামড়া কিন্তু বর্মধারী পূর্বপুরুষদের থেকে আলাদা, আঁশ-বিহীন। ভিতরের Saray আছে একটা বিশিষ্ট গড়নের খুলি আর ঝুড়ির মতো এক ফুলকো-কাঠামো | জোড়ায়-জোড়ায় পাখনা নেই। মধ্যক (median) পাখনা দুটো পিঠে, একটা ল্যাজে, একটা AALS | বেশ কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে, গোলমুখোরা সত্যিকারের মাছ কি না। ল্যামপ্রিদের আত্মীয় হল মিকসিন (Myxine) ও অন্যান্য গণ (genera)- SSF হ্যাগফিশরা, যাদের সাধারণত দেখা যায় গভীর সমুদ্রে । প্রজননের জন্য এরা কখনও মিঠে-জলে পাড়ি দেয় না। ওদের পাড়া ডিমগুলো সামুদ্রিক আগাছার গায়ে লেগে থাকে, সেগুলো থেকে বাচ্চা বেরোয় বাপ-মার মতোই দেখতে | হ্যাগফিশের মুখ গোল, চোয়ালবিহীন, তবে চারপাশে FH OBI বেষ্টনী। মুখের নীচের প্রান্ত-বরাবর শিংজাতীয় পদার্থের দাঁত। ওরা বাঁচে মরা মাছ খেয়ে-_মাংস কুরে কুরে খেয়ে বাদ রাখে শুধু শক্ত কঙ্কাল আর বাইরের চামড়াটা।



Leave a Comment