হৃদয়ের খোঁজে | Hridayer Khonje

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ হৃদয়ের খোঁজ — কমল! তবে, তুই ওদের খবর একবার দিবি, আর যদি আসে ডেকে নিয়ে আসবি। — বড়দা তুমি ঠিকই বলেছ। পারলে কমল, ওদের ডেকে নিয়ে আসবে। গোপালের মা — বাবা তুমি মুড়ি খাও। aT, মুড়ি খাব না। খিদে নেই সেরকম। আজ দুপুরে খেতে একটু দেরীই হয়েছিল। মেজকাকী — দুটি খাও বাবা - রাত অনেক হবে। — না কাকীমা। খিদে নেই। আপনারা যে রকম করছেন আমার খারাপ লাগছে। গোপালের মা -- এক কাজ কর মেজো। বড় টিনের হাঁড়িটা চাপা ওতে বাড়ীর সকলের জন্য চালে ডালে চাপিয়ে দে। বেশী দেরী হবে না। মেজকাকীমা — তরকারী কপির ঝাল আর তিল বাঁটা, আলু ভাতে। গোপালের মা -_ তিল বাঁটা ভালই হবে। তবে কোন কিছুতেই পিঁয়াজ দিবি না। কালু — আমার কোন কিছুতেই বাছ বিচার নেই। গোপালের বাবা — সেই ভাল, এখন থেকে কত আর বিধি নিষেধ মানবে বাবা, এখন কি আর তোমার বৈরাগী হবার সময়। মেজকাকা — ঠিক কথা। এদিকে গোপালের ঠাকুমা নড়বড়ে শরীর নিয়ে উঠে এসেছে। কেউ লক্ষ্য করেনি। ছোট নাতনী, ছোট ছেলে কমলের পনেরো বছরের মেয়ে খবরটা দেয়। বাতের কষ্টকে উপেক্ষা করে দেখার Bal যদিও নাতনীর মুখে শুনেছে, দেখতে ভালো - AA কালো। যেখানে কালু বসে আছে সেখানে এসেই হাজির হয়ে বলে - কৈ ভাই, আমাদের কালাচাদ! কালু একটু হকচকিয়ে যায়, পরে সামলে নিয়ে বলে, আমিই কালাটাদ ঠাকুমা, বলেই বসে বসেই একটা প্রণাম সেরে নেয়। — কি করলে ভাই, আমার যে নরকেও ঠাই হবে না। একে ব্রাহ্মণ তার উপরে আবার সাধু। এত পাপ রাখবো কোথায়? — না ঠাকুমা, এতে পাপটাপের কিছু নেই। আপনিও গোপালদার ঠাকুমা। ঠাকুমাকে প্রণাম করবো না তো আর কাকে করবো। — ভাল করে একটু বসুন, গল্প করি। ঠাকুমাও কাছে বসে একটু পরে কালুর পায়ে কখন মাথা রাখে কালুকে বুঝতে দেয় না। কালুও হাত দুটো ধরে ঠাকুমাকে তুলে বলে - একি করছেন? — তুমি কি করলে ভাই। তুমি কি আমাকে নরকে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে পারলে খুশী BE | বামুন বলে কথা - তোমার প্রণাম আমার সহ্য হবে। প্রণামটা ফেরৎ দিলে তবুও কতকটা পাপ কমবে! সকলেই খুশী কালুর ঠাকুমাকে প্রনামে। এতদিন অশিতিপর বৃদ্ধার বাধায় একটু বিচলিত হয়। কিন্তু প্রণামের ব্যাপারটা সকলেই ভাল মনে নিয়েছে। এতক্ষণ একটু একটু করে কালু ও ওরা অন্তরের কাছাকাছি আসছিল। হঠাৎ কালু একেবারে জোর করে কপাটখুলে তাদের অন্তরে প্রবেশ করে। সকলে ভাবছে ছেলেটা কত ভাল। ব্রাহ্মণ হয়ে একটা গোয়ালার বুড়ি মাকে প্রণাম করলো। গোপালের সকল আত্মীয়ের চোখে জল এসেছিল। চোখগুলো he



Leave a Comment