উদ্বোধন [বর্ষ-১০৩] | Udbodhan [Yr. 103]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
Told শক্তি ও মনোহারিত্ব স্বামী রঙ্গনাথানন্দ এই আলোচনাটি প্রধানত দুর্গাপদ ঘোষ নিবেদিত 'স্বামী বীরেশ্বরানন্দ স্মারক রচনা'-রূপে প্রকাশিত হলো।-_সম্পাদক, 'উদ্বোধন' রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের পরম পৃজ্যপাদ অধ্যক্ষ মহারাগুজীর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিতব্য বর্তমান apart কলঞাতা'র অদ্বৈত আশ্রম প্রকাশিত মহারাজজীর ‘Universal Message of the Bhagavad Gita’ শীর্ষক ইংরেজী গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের (১ম সংস্করণ, ২০০০) অন্তর্গত অসামান! 'ভূমিকা'র বাঙলা অনুবাদ। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, মহারাডলীর প্রত্যেকটি ভাষণ, রচনা এবং আলোচনা অসাধারণ বিজ্ঞানমনস্কৃতা ও যুক্তিখদ্ধতায় সমৃদ্ধ এবং একাধারে বিশ্লেষণমূলক, ভক্তিরসাশ্রিত ও আধুনিক মানুষের om ও সংশয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনিবার্যভাবে গ্রহণযোগ্য। ভারতের অতুলনীয় শান্ত্রগ্রই “AO? সম্পর্কে পৃজ্যপাদ মহারাজজীর বর্তমান আলোচনাটিও তার free শৈলী ও ভঙ্গিতে সমৃভ্জ্বল। পাঠকরা প্রতিক্ষণেই তার প্রমাণ পাবেন এবং প্রতিক্ষণেই মহারাজজীর অনবদ্য যুক্তি ও বিশ্লেষণে SNES হবেন। SAGA ঃ অধ্যাপক সোমনাথ ভট্টাচার্য --সম্পাদক, 'উদ্বোধন' রা সূচনা করব ঃ “ও সহ নাববতু, সহ NSN, সহ Ake করবাবহৈ। oats arate, মা বিদ্বিযাবহৈ।। ও শাস্তিঃ শাস্তিঃ শাস্তিঃ।” | লা না | i —d (পরমাত্মা) আমাদের উভয়কে (গুরু-শিষ্যকে)' ; সমভাবে রক্ষা করুন। আমরা যেন সমভাবে বিদ্যাফল! ; ভোগ করি। আমরা যেন সমভাবে সামর্থ্য অর্জন করতে: : পারি। অধীগত বিদ্যা যেন আমাদের সমভাবে আলোকিত! ! ও COGN Sea | আমরা যেন পরস্পরকে বিদ্বেষ না করি; : ও শাস্তি, শাস্তি, শাস্তি aes মন্তব্য ঃ ভারত কিন্তু এককালে গীতাকে ভূল বুঝেছিল গীতার প্রথম তিনটি অধ্যায়ে যোগদর্শন তথা; : আধ্যাত্মিকতার মূল ভাবটি তুলে ধরা হয়েছে; যেটির উল্লেখ : স্রীকৃষ্ণ চতুর্থ অধ্যায়ের সূচনাতে করেছেন। বাকি চোদ্দটি; : অধ্যায়ে সেই দর্শনের afer করা হয়েছে। কিন্তু; : স্রীকৃষ্ণের আদি বাণীর সারটি প্রদত্ত হয়েছে দ্বিতীয় ও; : তৃতীয় অধ্যায়ে। গীতার উদ্দেশ্য হলো মানুষকে এইটি; : উপলব্ধি করতে সাহায্য করা যে, সকল পুরুষ ও স্ত্রীলোকের : মধ্যে রয়েছে এক শাশ্বত আধ্যাত্মিক সত্য; সেইসঙ্গে বুঝতে | : সাহায্য করা সেইসব মানবীয় লক্ষ্যকে, যেগুলির কথা! ; আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে কিংবা আধুনিক যুগের! ; মানবতা যেগুলির সন্ধান করছে। এই কারণেই আজ: ; গীতার বাণী সারা বিশ্বের বিভিন্ন aioe ছড়িয়ে পড়ছে।; ; আর আমাদের নিজেদের ক্ষেত্রে আধুনিক যুগে গীতাকে! i বুঝতে হবে এমন এক দৃষ্টিকোণ থেকে, যা আমাদের ; চিরাচরিত দৃষ্টিকোণ থেকে আলাদা। অতীতে বেশির ভাগ ; মানুষই গীতা পড়তেন পুণ্যের আকাঙ্ক্ষায় এবং একটু : মানসিক শাস্তির আশায়। আমরা! কখনো বুঝিনি যে, গীতা ; হলো তীব্র বাস্তবমুখিনতার এক মহাগ্রষ্থ; বুঝিনি যে, এটি ; ফলিত বেদাস্তের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রদ্থ--যা আমাদের পূর্ণ -বিকশিত ; মানুষের সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করার ক্ষমতা ধারণ ; করে। আমরা কখনো গীতার শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগের ; দিকটি বুঝতে পারিনি। যদি তা পারতাম, তাহলে আর ; আমাদের একহাজার বছর ধরে বৈদেশিক আগ্রাসন, : আভ্যস্তরীণ জাতিদ্বন্দ্ব, সামস্ততান্ত্রিক শোষণ ও গণ-দারিদ্র্য ; সহা করতে হতো না। আমরা কখনো গীতাকে গুরুত্ব : সহকারে গ্রহণ করিনি; কিন্তু এখন তা করতে BA উপনিষদের একটি শাস্তিপাঠ দিয়ে আমরা ; ; আত্মমর্যাদা, স্বাধীনতা ও সাম্যের ভিত্তিতে এক নতুন : জনকল্যাণকামী সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। ; আধুনিক ভারতবর্ষে আমরা আমাদের সামনে এই লক্ষ্য ; স্থাপন করেছি এবং এই ভাব সারা পৃথিবীর মানুষকেও ; অনুপ্রাণিত করছে। গীতায় রয়েছে এমনই এক দর্শন, যা ; মানুষের হৃদয়-মনকে সেই লক্ষ্যের উদ্দেশে পরিচালিত আমাদের দরকার এমন এক দর্শন যা মানুষের



Leave a Comment