কুমুদরঞ্জন মল্লিকের শ্রেষ্ঠ কবিতা | Kumudranjan Malliker Shreshtha Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অজয়ের কলতানে। সেথা কেঁদুলীর কোমল কান্ত পদাবলী শোনে কানে। নানুরের ঘাটে রামী রজকিনী আজিও কাপড় কাচে, তালে তালে তার ধ্বনি সে কবির শ্রবণকুহরে নাচে। বর্ষে বর্ষে বর্ষা বন্যা হানে, কবির দুয়ারে ভাবের বন্যা প্রেমের বন্যা আনে। ডাক দিয়ে যায় অনন্ত পানে ফেনিল উর্মিকুল সে ডাক শুনিতে কবির হয় না ভুল। যবে তরঙ্গ-তুরঙ্গচয় বহি আনে sys, আগুলিয়া তার পথ শীর্ণ পাণিটি তুলি ae কবি কয়, আশ্রমমৃগ বধ করিও না, এ তব বধ্য নয়। চারিপাশে শ্যাম তরুলতাগুলি রচে শান্তির ছায়া, কবির নয়নে ঘনাইয়া তোলে বৃন্দাবনের মায়া। 'লোচন' তাহার তৃতীয়-লোচন করিয়াছে বিমোচন, চণ্ডীর কৃপা করিয়াছে তার চিত্তেরে বিশোচন। বঙ্গমাতার দরদী হৃদয়খানি। তাহার জীবনে মূর্ত দেখিয়া পরম ভাগ্য মানি। রাঢ়ের মাটির ইক্ষুর মতো মধুর লেখনী তার পেষণে তাহার রস ঝরে অনিবার! লুপ্ত হয়নি রাঢ়-বঙ্গের সংস্কৃতির ধারা তাহার হৃদয়-গোপীযন্ত্রে যে পাই যেন তার সাড়া। মাঠের কুসুম কবিতা তাহার, হাটের পণ্য নয়, অনধিকারীর বিলাসলীলার ভোগের জন্য নয়। কবিতা তাহার গোবিন্দজীর তুলসী-বাসিত ভোগ, ঘুচায় মনের গ্লানি পাপ তাপ রোগ। কবিতা তাহার নরোস্তমের ঝুলি তার মাঝে পাই Te বাসস্ত হোলির রঙিন ধুলি। কবিতা তাহার নাটমন্দিরে বাতাসা হরির লুট, তারি লাগি পূবা অর্ধ শতক পেতে আছি করপুট। কবিতা তাহার কুললঙ্ষ্মীর ঝাপি, শিয়রে রাখি তা নির্ভয়ে মোরা দুর্যোগ রাতি যাপি! কবিতা তাহার বাংলা-মায়ের হৃদয়মথিত ননী। আশীর কোটায় আসিয়াও তার থামেনি বাঁশিব ধ্বনি। কাল-কালিন্দী-জলে কবিতা তাহার প্রসাদী কূসুম অসীমে ভাসিয়া চলে। সন্ধ্যার কুলায় শ্রী কালদাস রায়



Leave a Comment