For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)অথবা SRN, রামায়ণ খুলে বসে। তারপর খেয়ে দেয়ে ঘুমোয়।
মাসখানেক পরে কাজ একটু কমে এল তার । যা চাষ হয়েছে এখন
তাকে বাচানোই সবচেয়ে বড় কাজ । পোকা মারা, আগাছা বাছা,
জল নিকাশের পথটা একটু পরিষ্কার করা । জায়গাটাই সারের জমি,
তবুও সে নানা রকম সার নিজে তৈরি করে। এই অখণ্ড নৈঃশব্দ্যের মধ্যে কোন কোন সময় সে ছা করে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। হেমন্তের আকাশে থেকে থেকে
সাদা মেঘ কেমন করে আকুতি বদলে ধীরে ধীরে উড়ে যায়, তাই দেখে
তার সময় কেটে যায়। কখনো শালিকের AAT ও বুটোপুটি খেলা
দেখে হেসে ওঠে | পায়রার ঝাঁক উড়ে আসে, ধাপার মাঠের পোকার
লোভে আসে বকের দল। কাঠবেড়ালি এলে তাড়া করে, ওর কচি
পাতা পেলেই সাবড়ে দেয়। রোজ ভোরবেলা ওই পিটুলি গাছটায় অসংখ্য পাখীর কলকাকলীতে
আগে তার ভারী বেজার লাগতো | ভেবেছিল ওটার ডালপালাগুলো
কেটে দেবে. যাতে আর পাখী বসতে না পায়। পরে সে পাখীদের
এ দাবিট মেনে নিয়েছে। সকালবেলার দিকে পশ্চিমের ময়লা-বিশুন্ধির যন্ত্রটার ওদিকে কিছু
কথাবার্তা শোনা যায়, কোন কোন সময় পুবের মাঠ থেকে ভেসে আসে
ইাকডাকের শব্দ, গোরু বাছুরের হাম্বা রর। তার ছোট ঘরটাকে
কাপিয়ে এবেলা ওবেলা যায় অনেকগুলো রেলগাড়ি । তার এ saga
প্রান্তরে আগে এসব বিরক্তির কারণ হলেও এখন আর তার তেমন
কোন কৌতুহল নেই, এসব কানেও তেমনি যায় না। এর মধ্যে বার ছু-তিনেক দীনমদয়াল এসেছিল ৷ কিন্তু নারাণ এমন
ভাবে কোন কথার জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকত যে, দীনদয়ালের
বিস্ময় আর বিরক্তির সীমা! থাকত না। তবু কিছু বলত না, কারণ,
সত্যি একলা মানুষটা কি করে মাটির বুক এত সন্ভারে পরিপূর্ণ করে
তুলেছে ভাবলেও অবাক লাগে । নারাণের মাথাটা খারাপ বলে ৫