পথে প্রবাসে | Pathe Prabase

[ ¢ ] উঠেছে। একালের উৎকৃষ্ট ভ্রমণকাহিনীর উদাহরণ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “পথে farce’, অতুলচন্দ্র গুপ্তের 'নদীপথে”, উমাপ্রসাছ॥ মুখোপাধ্যায়ের হিমালয়-সম্পর্কিত ভ্রমণ গ্রন্থাবলী। প্রথমটিকে flee ভ্রমণকাহিনী বলতে অনেকেই রাজী হুবেন না, কারণ এখানে মাঝে মাঝে বাস্তব ও স্বপ্ন, রিয়ালিটি ও ফ্যান্সির সংমির্রণ ঘটেছে। পরবর্তা লেখক দুজনের রচনা fans ভ্রমণকাহিনী, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই | wou জন্নদাশক্কর রায়ের পথে-প্রবাসে” (১৯২৯) fawe re উৎকৃষ্ট ভ্রমণকাহিনী । এখানে ভ্রমণের ছলে রেলের টাইম-টেবিল ধরে দ্রষ্টব্য স্থানের বস্তুগত বিবরণ লিপিবদ্ধ হয় নি, অথবা ভ্রমণের আড়াল দ্বিয়ে নরনারীর প্রেমাথ্যান পরিবেষিত হয় নি। বিদ্বেশ ভ্রমণ-__বিশেষত ইউরোপ ভ্রমণ-_-একটি তরুণ ভারতীয় মনকে কী ভাবে বালে দ্বিতে পারে, তাঁর পরিচয়স্থল এই aT! ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল, দু বছর Sasa ate. সি. এস. পরীক্ষা উপলক্ষে বিলাতে ছিলেন। তখন পশ্চিম ইউরোপের সকল হৎকেন্ছে তার চঞ্চল Vege জিজ্ঞাম্থ মনের স্পর্শ রেখেছেন। সেই জিজ্ঞাস, গুৎস্মক্য ও জীবনাহুরাগের রক্তিম স্বাক্ষর “পথে গ্রবাসে”। এই ছু বছরে তিনি কতটা ব্ালেছেন--এই প্রশ্ন গ্রন্থ-দমাপ্চে বড় হয়ে উঠেছে। বস্তুত ভ্রমণ সম্পর্কেই এই প্রশ্ন খাটে--যে কোনো স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন ভ্রমণ আমাদের জীবনে কোনো ছাপ রেখে যায় কিনা তা বিচার্ষ। পুরীতে বা দাঞ্জিলিঙে গিয়ে অনেকে ay বা কাঞ্চনজজ্ঘার দিকে পিঠ ফিরিয়ে তাস খেলে; দৈনন্দিন জীবনের অভ্যস্ত ইবিধাগুনি পেতে চায়, না পেয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে, শেষ পর্যন্ত ate গুছিয়ে ফিরে আসে কলকাতায়-_এ ঘটনা বিরল নয়। সেখানেই ভ্রমণ শোচনীয়রপে ব্যর্থ। দারজিলিঙ বা পুরী বা কোণারক বা মহাবলীপুরম্‌ বা কোনো অধ্যাড wea নির্জন বিশ্রাম-নিকেতন যদি আমাদের কিছুটা না ব্যলে দিলো, তবে ভ্রমণে লাভ কি! অন্নয়াশঙ্করের ভ্রমণকাহিনী আমাদের বদলে দেয়, ব্যাকুল করে, এখানেই এই ভ্রমণকাহিনীর সার্থকতা।