For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)জীবন-কথা ৫ শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশাসনের যোগাযোগ ছিল। প্রথমে বরিশালের কলসকাঠি গ্রামে এবং
পরে বরাহনগরে টোল স্থাপন করে তিনি অনেক ছাত্র পড়িয়েছিলেন, তার সঙ্গে যুক্ত হয়
সংস্কৃত কলেজের অভিজ্ঞতা। ““১৮৪৫ সালের মে মাসে তিনি এঁ পদ [আ্যাসিস্টান্ট
সেক্রেটারি] পান এবং ১৮৪৬ সালের বারুণীর দিন ২৬ মার্চ তাহার মৃত্যু হয়। ১৫ রামকমলের ছয় ছেলে-_নন্দকুমার ন্যায়চুঞ্চ, রঘুনাথ, যদুনাথ, শরৎনাথ
(হরপ্রসাদ), মেঘনাথ-_বিদ্যাচর্চায় নিজ নিজ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। অবশ্য এঁদের
মধ্যে “হেমনাথ অবিবাহিত অবস্থায় ১৬/১৭ বৎসরে মারা যান।””* নন্দকুমার ছাড়া
অন্যান্য ছেলেরা ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত, প্রাচীন এঁতিহ্যবাহী টোল শিক্ষার গণ্ডীর মধ্যে
তারা নিজেদের আর আবদ্ধ রাখেন নি। নন্দকুমার ন্যায়চুঞ্চুকে “বদ্ধমানাধিপতি মহারাজ
ও বিখ্যাত পণ্ডিত শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও শ্রীযুক্ত রাজা রাধাকান্ত দেব ও শ্রীযুক্ত
বাবু রামপ্রসাদ রায় প্রভৃতি মহামান্য ব্যক্তিবর্গ ন্যায়চুঞ্চু উপাধির পরিবর্তে তর্করত্ন উপাধি
দিয়াছেন।”* নন্দকুমার খুব অল্প বয়সেই শ্রীরাম শিরোমণি, গোলকচন্দ্র ন্যায়রত্ন, জয়নারায়ণ
তর্কপঞ্চানন প্রমুখ পণ্ডিতগণকে তর্কে পরাস্ত করে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। কিন্তু একবার
একটি ঘটনা ঘটে, যার ফলে তিনি বর্ধমান রাজের সভা পণ্ডিতি ছেড়ে সরকারি চাকুরি
গ্রহণ করেন। বিনয়তোষ ভট্টাচার্য লিখেছেন, বর্ধমানের মহারাজা মহাতব টাদ একবার
ন্যায়শাস্ত্রের বিতর্কে অংশ গ্রহণের জন্য নন্দকুমার ও নবদ্ধীপের শ্রীরাম শিরোমণিকে আহ্বান
করেন। বিচারক নিযুক্ত হন রামকমল AAG তাতে নন্দকুমারের আপত্তি ছিল এবং
প্রকাশ্যে তিনি প্রতিবাদও করেছিলেন। শ্রীরাম শিরোমণি ইতোপূর্বে নন্দকুমারের কাছে
পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু এই সভাতেও নন্দকুমার অকাট্য যুক্তিসমূহ প্রদর্শন করলেও
রামকমল শ্রীরাম শিরোমণিকেই জয়ী বলে ঘোষণা করেন। নন্দকুমার রামকমলের বিরুদ্ধে
প্রকাশ্য সভাতেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন। এবং ব্রাহ্মণ পন্ডিতির পেশা পরিত্যাগ
করেন।« নন্দকুমার বর্ধমান-রাজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বর্ধমান ত্যাগ করেন এবং প্রথমে স্কৃত কলেজ ও পরে কান্দি স্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষক হন। তার এই চাকুরি দুটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চেষ্টায় হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিদ্যাসাগরের প্রেরণায় তিনি ইংরেজিও
শিখেছিলেন। বিদ্যাসাগর যখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ (১৮৫১-৫৮) তখন “তিনি বুঝিতে
পারেন যে ates শিক্ষা-পদ্ধতিতে আর জীবিকা অর্জন সম্ভব হইবে A”? সংস্কৃত
কলেজ প্রতিষ্ঠার (১৮২৪) আগেই ১১ ডিসেম্বর ১৮২৩ সালে রামমোহন রায় বড়ো লাট
আমহাস্টকে একাট দীর্ঘপত্র লেখেন। তাতে তিনি লেখেন যে, ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার
অন্যতম পরিকল্পিত ব্যবস্থা হলো এই দেশকে অন্ধকারে নিমঞ্জিত রাখতে সংস্কৃত শিক্ষা
ব্যবস্থা চালু রাখা। দেশীয় জনসাধারণের উন্নতি করাই যদি সরকারের লক্ষ্য হয় তবে