মনোরমা | Manorama

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ মনোরমা রাগে জলে উঠে বৌটি বলল, “চল্‌ তো দেখি বলে ছেলের হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় | পুষ্পদের বাড়িতে এসে পুষ্পর দেখা পায় না, সে তখনও বাড়ি ফেরে নি। পুষ্পর মাকে বৌটি যাচ্ছেতাই অপমান করে। বলে-'“তিনকাল গিয়ে তোমার এককালে ঠেকেছে, শাসন করতে ATA না মেয়েকে 1' বুড়ী তার কথায় কিছুই বুঝতে পারে না। অবাক হয়ে বলে _'কেন কি করেছে পুষ্প ” IS চেপে বৌটি বলে--টাকা-টাকা, আমার ছোট দেওরের কাছে টাকা এনেছে-_এক্ষুণি ফেরত দিক্--নইলে আমি যাচ্ছেতাই করবো ।” বুড়ী বলে-_-“সে তো ফেরে নাই, আর আমি তো এ সবের কিছুই জানি নামা। বৌটি বলে-_'তা জানবে কেন, নিজের পেট চলছে না-_তাই মেয়েকে সোয়ামীর ভাত ছাড়িয়ে এনেছ? তাকে ভাঙিয়ে খাবে বলে, IAT ছোটলোক । ‘sot বৌদি, ছোটলোক আমারা নই, ছোটলোক তোমার দেওর | _বলতে-বলতে এক আচল SAM শাক নিয়ে পুষ্প এগিয়ে আসে | রাগে, ছঃখে, অপমানে পুষ্পর বুড়ী মা ঝাপিয়ে পড়ে পুষ্পর ওপর | লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাধির মারতে-মারতে বলে-'“ফেলে দে, ফেলে দে হতভাগী, কত টাকা নিয়ে এসেছিল ফেলে দে! তোর জন্যে বুড়ো বয়সে আমাকে এই সব কথা শুনতে হলো! মর্মর্‌, গলায় দড়ি জোটে না তোর 7 বেরিয়ে যা, বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে, তোর ও কালামুখ আমি আর দেখতে চাই না! দূর হয়ে যা --বলতে-বলতে বুড়ী রাগে কাপতে-কাপতে ঘরে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দেয় | পুষ্প এতক্ষণ পাথরের মতন দাড়িয়ে মার খাচ্ছিল। তার আচল থেকে শাকগুলো পায়ের তলায় পড়ে গেছে। পুষ্প ধীরে-ধীরে বৌটির দিকে মুখ তুলে বলে---_“সাধ মিটেছে তো বৌদি, এবার বাড়ি যাও । তোমার দেওরকে জিজ্ঞেস করো, Brel আমি নিই নি। তোমার cred আমার ভাইয়ের মতন ! বদন্কার দিয়ে ওঠে মুখরা বৌটি--'উঃ, সতী-সাবিত্রী, সোয়ামী কুলে



Leave a Comment