আমি চঞ্চল হে | Aami Chanchal He

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমি চঞ্চল হে ভ্রমণের সার্থকতা সম্বন্ধে ইস্কুলের ছেলের যে-সব রচনা লিখতে হয় তা আমরা সকলেই জানি । এবং সেখানে ভ্রমণের প্রতি যে-সব মহৎগুণ আরোপ করা হয় তা-ও জানি। এক কথায় বলতে গেলে, ভ্রমণ হচ্ছে মানসিক ডন-কসরৎ, বুদ্ধিবুত্তির স্াণ্ো- সিসটেম । তাতে আমাদের পরিপ্রেক্ষিত হয় Data, দৃষ্টি হয় FR, সংস্কারের AVIS যায় কেটে; তার ফলে আমরা দেখতে শিখি, ভাবতে শিখি; সমস্ত শিক্ষার শেষ সম্পূর্ণতা সেখানেই । CATE কথায় বিশ্বাস করতে যদি পারতুম ! কিন্তু প্রকৃত ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই--কী ? যা দেখতে পাই, তা বাঙলাভাযার 'ভ্রমণকাহিনী'গুলোর একটু পাতা ওণ্টালেই বোঝা যায়। '( অবিশ্যি রবীন্দ্রনাথের এ গ্রেণীর রচনা বাদ দিয়ে বলছি; এবং রবীন্দ্রনাথের রচনার সঙ্গে অন্য যে-কোনো কাহিনীর ক্ষণিক তুলনা করলেই প্রভেদটা স্পষ্ট হবে। ) ইয়োরোপে বেড়িয়েছেন এমন বাগালি স্ত্রী-পুরুষের আজ অভাব নেই, ভরমণ-বৃত্তান্ত যারা লিখেছেন তাদের সংখ্যাও নেহাৎ অল্প নয়; এবং সে-সব লেখা প'ড়ে এটাই আমরা উপলব্ধি করি যে ঠিক যেমন বই পড়লেই শিক্ষা হয় না, তেমনি জলে স্থলে আকাশে বিভিন্ন যানে ঘোরা- ঘুরি করলেই ভ্রমণজনিত নানা মহৎ গুণ অন্তরে বর্তায় না। সেই এক বুড়ি জগন্নাথ দেখতে গিয়ে লাউমাচাই দেখেছিলো; সেই এক প্রহসনের চরিত্র বোদ্বাই সম্বন্ধে এই মন্তব্য শুধু করে- ছিলো যে সেখানে গীজার দম বড় বেশি। লগুনের হোটেলের বাথরুম কেমন সুন্দর, ভিয়েনার বাজারের মাংসের da কী আশ্চর্্যরকম পরিষ্কার, প্যারিসের প্রধান রাজপথে ক'টা ফুটপাথ এই ধরণের বহু তথ্য বঙ্গীয় পশ্চিমযাত্রীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সহজ। এ নিয়ে অবিশ্যি আক্ষেপ ক'রে লাভ নেই;



Leave a Comment