ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন কেন যাবেন | Daktarer Kachhe Kakhan Jaben Kena Jaben

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ডাক্তারের কাছে কখন যাবেন ভারতে বৃটিশ শাসকরাই ডাক্তার শব্দটির প্রচলন করেছেন। বৃটেন থেকেই আধুনিক ডাক্তার এবং আধুনিক এলোপ্যাথি চিকিৎসাবিদ্যা ভারতে আমদানী করা হয়েছে। এটিই এখন পৃথিবীর সর্বত্র সর্বাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পছ্ধতি। এর আগে ভারতে আয়ুর্বেদিক বৈদ্য ও কবিরাজদের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। মুসলমান শাসকরাও নানা ধরনের হেকিমি চিকিৎসা আমদানী করেছিলেন। কিন্তু যথাযথ বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ না থাকায় দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা আশানুরূপ উন্নতি লাভ করতে পারেনি। ভারতের স্বাম্মীনতা লাভের পর দেশীয় বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির গবেষণা শুরু হয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সোনা, রূপা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ব্যবহার করে যেসব ওঁষধ তৈরী হয় সেগুলো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থাকে। কবিরাজি বড়ির সঙ্গে নানা ধরনের পাতা-শিখর সংগ্রহ করে বেটে বা সেদ্ধ করে সালসা তৈরী করে খাওয়ার জটিলতাও আছে। আজকাল এলোপ্যাথি ওষধের মতই টেবলেট এবং ক্যাপসূলের আকারে আয়ুর্বেদিক ওঁষধ তৈরী শুরু হয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে আগত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও এদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দীর্ঘকাল যাবৎ হোমিওপ্যাথি ওষধের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে নানা জটিল প্রশ্ন এবং বিতর্ক হয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণার দ্বারা ক্রমাগত উন্নতি ঘটিয়ে নানা জটিল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছেন। নতুন নতুন SAY আবিষ্কার কারে এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতি ঘটিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করা[ছন বহু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তবে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় সুফল পেতে হলে কিছুকাল ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক রোগের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করার মত সময় হাতে থাকে না। স্বাধীন ভারতে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ও গবেষণার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ৪



Leave a Comment