For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)কেউ জানে না। রাজা নাকি তারপর রাজসভার সব কাজ স্বগিত রেখে এই দীঘি খনন
করিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকের বিশ্বাস দীঘির জলের নিচে ঘড়া YE! মোহর আছে। মুসলমান আক্রমণের সময় সেই রাজমহিযী ময়ূরপঙ্খী নাও সাজিয়ে এই জলে'
বিহার করেছিলেন। কিন্তু তার আদেশে শতচ্ছিদ্ব করা ছিল সেই ময়ূরপঙ্খী নাও |
মান রক্ষার জন্য রাজমহিযী নাওহ্তদ্ধ রাজদীঘিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছিলেন | এই দীঘির চারদিকে রাতের গভীরে কখনো-সখনে] কচি ছেলের কান্না শোন! যায়।
অনেক বুড়োবুড়ী বলে তারা শুনেছে । এখনো নাকি শোনা যায়। কদাচিৎ কখনো |
কেউ কেউ বলে, দীঘিকে চিরকাল জলবতী করে রাখার জন্য এখানে শিশুতপণ
করা হয়েছিল । সেই শিশু কাদে। কিন্তু আশপাশের বুড়োবুড়ীরা ঘাড় নাড়বে।
তারা বলবে তা নয়। যে শিশু কাদে সে সেই শিশু নয়। সে আর একজন। ওই
সতীনাশার থানেরই একজন i সে টাদের হাসি-ধোয়া দু'বছরের বাড়বাড়স্ত শিশু একটি |
সেই শিশু কাদে | দীঘির পরে বকৈর্বর্তদের নিবাস ছাড়িয়ে কাহারপাড়া পেরিয়ে ব্রাম্মণপাড়া।
সেখানেও এক অতি প্রাচীন বটগাছের নিচে আছে একটা থান । ওলাইচগ্ডীর
থান। কোজাগরী পূর্ণিমার সন্ধ্যে থেকে তিন দিন ae মেল! বসত এখানে । আশে-
পাশের গ্রাম শহরের লোকেরা] এই তিনটি দিন ভেঙে পড়ত এখানে । এই মেলায়
অনেক কেনা বেচা SS অনেক রঙ্গরস হত, অনেক ফুতির বান ডাকতো। বুড়ো-
বুড়ীদের সেই মেলার কথা মনে হলে চোখে জল আসে Atal | একটা বিলুপ্ত স্বৃতি
বুকের মধ্যে মমতা দিয়ে বাধিয়ে রেখেছে তারা। ব্রাহ্মণপাড়ার শেষপ্রান্তে মজা সরস্বতী। মজাও Al যায়,না এখন। নদীর
একটা wera হদিস মেলে ay কেউ ভাবতেও পারবে না এই AISA বুকের
ওপর দিয়ে বড় বড় বাণিজ্যতরী দেশ বিদেশ চষে এসেছে। মরা সরস্বতীর চড়া ছেড়ে
কিছুটা ভিতর দিকে এগোলে সতীনাশার থান । তখন থান ছিল না এটা, Aware
ভিটেও ছিল না। চারদিকের ফাকার মধ্যে একটা ঘর ছিল মাত্র। সবাই বলত পরাণ চাষট্টুজ্জের ডেরা। গোপনে AIS গেঁজেল চাটুজ্জের কুঁড়ে। চাটুজ্জেকে সমীহ করত সকলে, ভয়
করত। উচুনিচু ধনী-দরিদ্র সকলেই । কারণ পরাঁণ চাটুচ্জের সম্বন্ধে অনেক
গুজব ছিল tier) তার tren খাওয়ার গল্প লোকের মুখে মুখে ফিরত । নিরাপদ ১৮