For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এল। বললাম নামব না, লেখা আছে। সে বলল, “জমিদারদের গল্প লিখতে
তো ভাবতে হয় না, এত তাড়া কিসের!” রাগ হল। বাড়ি এসে কলম ধরলাম।
লিখলাম, কড়ি দিয়ে কিনলাম। আধুনিক জীবন কাকে বলে তা ওর মুখের
ওপর ছুঁড়ে দিলাম। বুঝলে?” একজন বয়স্ক মানুষ যখন ছেলেমানুষের মতো অভিমান করেন তখন
আমাদের মজা লাগে। তারাশঙ্কর থাকতেন Biot পার্কে, বিমল মিত্র চেতলায়।
হঠাৎ সরকারী বাসের নতুন রুট চালু হল, তেত্রিশ নম্বর। বাসটি টালা পার্ক
আর চেতলার মধ্যে যাতায়াত করবে। আমি অনুমান করি সুযোগসঙন্ধানীরা এই
বাসটিকে কাজে লাগিয়েছিলেন। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন একটি লিটিল ম্যাগাজিন করার
বাসনা হয়েছিল। আমরা ঠিক করলাম সমরেশ বসুর কাছে লেখা চাইব। প্রতিষ্ঠিত
লেখকরা লিটল ম্যাগাজিনে লেখেন না। লিটল ম্যাগাজিনের ছেলেমেয়েরা
অহংকারী হয়ে তাদের লেখা ছাপতেও চায় না। আমাদের মনে হয়েছিল সমরেশ
বসুর মতো লড়াই করে উঠে আসা মানুষ নিশ্চয়ই ওইসব লেখকদের দলে
পড়েন না। তখন বিংশ শতাব্দী এবং কথামালা নামে কাগজ বের হত গ্রে স্ট্রীট
থেকে। সেই বাড়িতে সমরেশ বসু দুপুরে লেখেন বলে খবর পাওয়া গেল।
এক দুপুরে আমরা সেখানে হানা দিলাম। দপ্তর থেকে বলেছিল, উনি দোতলায়,
লিখছেন। যখন অনুমতি পাওয়া গেল তখন সেই ঘরে পৌঁছানো মাত্র ওঁর
হাসিতে আক্রান্ত হলাম, “কি ব্যাপার?” বিছানায় আধশোয়া সমরেশ বসুর সঙ্গে
উত্তমকুমারের কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি। আমরা আমাদের বক্তব্য জানালাম। কোনও দক্ষিণা দেওয়া সম্ভব নয়। উনি হাসলেন, দ্যাখো, এখন আমার খুব টাকার দরকার । প্রতিটি শব্দ
লিখছি টাকার জন্যে। লেখা কেন, আমাকে ব্যবহার করে কেউ যদি টাকা
দেয় তাতেও আমি রাজি। তোমরা নিশ্চয়ই সমস্যাটা বুঝতে পারছ! রণেন্দু উষ্ণ গলায় জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আপনি টাকার জন্য লেখেন?” ১৩