মানসম্মান | Mansamman

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ মানসম্মান যৌবন, ওর অনুগত পেশীগুলো হঠাৎ ইস্পাতের মতো কঠিন হয়ে প্রায় সাঁড়াশির মতো আমার দেহকে ওদের মনিবের দিকে টেনে নিয়ে গেলো, তারপর মনোময় আমাকে নিঃশব্দে নিবিড় আলিঙ্গনজালে বন্দিনী রাখার আনন্দ উপভোগ করতে লাগলো। একমুহূর্ত ওর পেশীগুলো শিথিল হয়েছিল, আমিও চকিতে কয়েক ইন্টি দূরে ফোম রবারের বিপজ্জনক সীমান্তদেশে সরে এসেছি। ঘুমের ঘোর পুরো না কাটলেও, মনোময় কাতরভাবে আমাকে চাইলো | বললো, “ভোরবেলায় তোমাকে না পেলে আমার একদম চলে না, মালবিকা ।” অসংখ্যবার এই কথাগুলো আমাকে আনন্দ দিয়েছে, ওর অসহায় শারীরিক মানসিক অবস্থা আমি উপভোগ করেছি। কিন্তু গতকাল আমি অন্য মুডে ছিলাম। আমি বললাম, “ভোরবেলাতেই কী সব বলছো মনোময় ? এই তো তিনদিনের দিল্লী-ট্যুরে আমি তোমার সঙ্গে ছিলাম না। ভোরবেলায় তোমার কোনো অসুবিধা হবার রিপোর্ট তো আমার কানে আসে নি ।” মনোময় আমাকে আবার আলিঙ্গনবন্দী করবার জন্য অনেকখানি কাছে সরে এলো, তারপর কোনোরকম রাগ না-দেখিয়ে বললো, “আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো, তাহলে প্রত্যেক ট্যুরে তোমাকে সঙ্গে নিয়ে যেতাম |” তারপর সে শিশুর মতো আমাকে দখল করে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়লো | আমি ঠিক করেছিলাম বলবো, "এটা তোমার ভালবাসা নয়, WAAR | আমার বদলে একটা প্রমাণ সাইজের পাশ-বালিশ পেলেই তোমার কাজ চলে যাবে ।” কিন্তু এসব কিছুই বলা হলো না। আমার হঠাৎ মনে হলো, একটা অসহায় শিশু স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে তার মাকে জড়িয়ে আছে। একটু পরেই মনোময় তড়াং করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েছে-_আমি যে একটা প্রাণী ওর সঙ্গে একই বিছানায় রাত কাটালাম তা যেন এই পুরুষমানুষটির খেয়াল CTS |



Leave a Comment