For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)তোমার । কী CaM, কী Ast, বাপের বাড়িতে সবাই জিজ্ঞেস করে হ্যা রা তোর শ্বশুরের
কী হয়েছে র্যা? তো কী বলব বল তো বড় বউ? মা বলল, আমি তো শুনিনি এসব, কী রোগ হয়েছিল রে সোহাগ? সামনে পানের ডিবে, মা পান সাজছে। সোহাগবালা, খুড়িমা পান মুখে দিল। ফ্যাচ
করে জানালা দিয়ে পিক ফেলল। তক্তাপোষের ওপর দুপুরবেলায় আমি আর বিদেশ।
আমি চোখ দুটো শক্ত করে বন্ধ করে পড়ে আছি, বিদেশকে দুবার ঠেলা দিলাম, বিদেশ
বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। খুড়িমা আবার পিক ফেলল, কথার খেই ধরে বলল, শুনবে
কী করে, বড়ঠাকুর বললে তো শুনবে, ছোটটিও কী বলে? গুণধর শ্বশুর বাথরুম থেকে
বেরবার পর চানে গেছি, দেখি রক্ত, নর্দমার মুখটাতে পেচ্ছাব বসেছিলেন, জলে ধোয়নি
সবটা রক্ত। জানতে চাইলাম, বললেন, ফিসচুলা না অর্শ। পরে জানাজানি হয়ে গেল।
ঝাঁটা মার, ঝাটা মার। আমার মায়ের ভীতু ভীতু গলা শোনা গেল, রক্ত, বাথরুমে রক্ত, পেচ্ছাবের সঙ্গে,-হ্যা
র্যা কী হয়েছিল রে HANA | সোহাগবালার হাতভর্তি সোনার চুড়ির ঝনাৎকার। আড়চোখে
দেখলাম সোহাগবালার দুহাতে কাপড়টা একটু উঁচুতে তুলে, SAAN বলল, এই এইখানে.
ঘা হয়েছিল, মরণ। তুই কী কিছুই জানিস না লো, ডাক্তার বলেছিল গণোরিয়া, পুঁজ war,
রক্ত পড়ত। তা তোমার ঠাকুরপো--তখন তো তার বাপ অস্ত প্রাণ। বাবা ব্যবসার টাকা দেবে।
ডাক্তার বদ্যি সব একার ওপর | ভাল হয়ে, বরদাকাস্তর হীরের আংটিটা তোকেই দিয়ে চলে
যাব, শ্বশুরমশাই বলেছিল। তা দিল? তারপর তো দশটা বছর কেটে গেল। ওই হীরের
আংটি যদি ভৈরবীর সেবায় না যায়, তো আমার নাম সোহাগবালা নয়। এত করে তোমার
ঠাকুরপোকে বলছি, একবার বসিরহাটে যাও, নিজের চোখে দেখে এস, তা শুনলে তো।
বরদাকাস্তর তো খেয়েদেয়ে কাজ নেই। ভূত হয়ে এসে বলছেন, বড় কষ্ট, বড় কষ্ট। এখন
ছোটো গয়ায় পিণ্ডি দিতে | যদি দিতেই হয়, তো উনি নিজে যান না। ছেলে থাকতে নাতিদের
কেন দরকার পড়ল FASS | মা যেন মনে করিয়ে দেওয়ার মত করে বলল, তাছাড়া ওনার, মানে বরদাকাস্তর তো
প্রথম HHS আছে, তাদেরও তো কিছু কর্তব্য আছে। সোহাগবালা বলল, তাই না তাই, ভূত হয়ে দেখা দিতে হয় তো প্রথম পক্ষের ভবানীপুরের
বাড়িতে যা, তা না। অদৃশ্য বরদাকাস্ত কিংবা বেচারী ঠাকুরদার উদ্দেশে ঝাটা মার, ঝাঁটা
মার বলে, সোহাগবালা চলে গেল। বিদেশ অঘোরে ঘুমোচ্ছে। মায়ের নজর হঠাৎ তক্তাপোষের দিকে। গালে হাত রেখে
বলল, হায় কপাল, তুই ঘুমসনি, জেগে জেগে বড়দের কথা গিলছিস। আমার কাছে এসে
মা তার স্বেদন্লিগ্ধ Stor গালটা আমার কপালের উপর রাখল। ফিসফস করে বলল, এসব
কথা শুনেছিস, কাউকে বলবি না কিন্তু, তোর বাবাকেও না। আমি জিল্ঞেস করলাম, সবাই কী মরে গেলে ভূত হয় মা! ২০