মেঘে মাটিতে মাখামাখি | Meghe Matite Makhamakhi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'হাতে গোনা না ভাই, তার জন্যে মেশিন আছে। ব্যাঙ্কে দ্যাখোনি ‘Toa কোটি টাকা দুবাইতে গেল কী করে?” 'দুর! টাকা যাবে কেন? ইন গড় উই ট্রাস্ট গেছে।' 'বুঝলাম না।' 'ডলার হে। ডলারের গায়ে লেখা থাকে BANS ছন্ডি করে পৃথিবীর যে কোনও দেশে তাদের টাকায় পাঠানো যায়। ইন্ডিয়াতে ওদের কেউ টাকাটা নিল। নিয়ে জানিয়ে দিল দুবাইয়ের স্যাঙাৎকে। যে QIAN ডলার তলে দেবে যেখানে দেওয়ার কথা। কোনও কারচুপি ডলার নিয়ে করা যাবে না, কারণ তার মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আহে 'ভাবা যায় Ay) কিন্তু ভাবতে হবে। হয় ওই রকম বাঙালি ব্যবসায়ী যে তিন কোটি গেলে এক পুজোয় দাম বাড়িয়ে তুলে নেবে, নয় দুবাই-এর এজেন্সি নাও । আমাদের শ্যামবাজার পাড়ার জন্যে কেউ এখনও এজেন্সি পেয়েছে বলে জানি না। আচ্ছা, আমি এবার বাঁ দিকে।' বুড়োদা চলে গেলেন। বাড়ি ফিরতেই মা হা হা করে উঠলেন। ভিজে একসা হয়ে এসেছে সে। তৎক্ষণাৎ গরম জলে স্নান করতে হল। করে বেশ আরাম লাগল | মায়ের তাগাদায় রাতের খাওয়া শেষ করতে হল। তারপর শোওয়ার ঘরে ঢুকে দরজা বদ্ধ করে সে মানিব্যাগটা নিয়ে বসল। বেশ দামি ব্যাগ। চামড়ার । পকেটে রাখায় বৃষ্টির জল লাগেনি। মাঝখানের খোপে ডলার এমনভাবে ঠাসা যে মুখ বন্ধ হচ্ছে না। সপ্তম ডলারগুলো বের করল। সব একশো ডলারের নোট | এক দুই করে গুনতে গুনতে আটচল্লিশে এসে সে থামল। তার মানে চার হাজাব আটশো ডলার। MPH!) এগুলো ভারতীয় টাকায় পরিবর্তন করলে প্রায় দু লক্ষ আঠাশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু এই টাকা নিশ্চয়ই কোনও বিদেশির। সেই বেচারার অবস্থা নিশ্চয়ই এখন খুব করুণ। বিদেশে এসে এত ডলার হারিয়ে কী বিরাট সমস্যায় পড়েছে তা সহজেই অনুমান করা বায়। লোকটা নিশ্চয়ই পুলিসের কাছে ইতিমধ্যে পৌছে গিয়েছে। তার উচিত এখনই থানায় গিয়ে এটা জমা MSA | তাহলেই যার ডলার সে পেয়ে যাবে। ঘড়ি দেখল সপ্তম। এগারটা বেজে গিয়েছে। বাইরে বৃষ্টির শব্দ হচ্ছে। এত রাত্রে এই পরিবেশে থানায় গেলে কোনও ঝামেলা হবে না তো? পুলিস যদি জিজ্ঞাসা করে ট্যাক্সির ভেতর থেকে ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়ে চুপচাপ নেমে পড়লেন? ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলেন না কার ব্যাগ? কী জবাব দেবে? বলবে লোকটাকে সৎ বলে মনে হয়নি, BIS বিশ্বাস করবে পুলিস। কে না জানে পুলিসে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। তখনই সুভাযষদার কথা মনে পড়ল। সুভাষদা বলে দিলে কাল সকালে সে স্বচ্ছদ্দে লালবাজার গিয়ে বড়কর্তাদের হাতে মানিব্যাগটা তুলে দিতে পারে। সে ঝটপট সুভাষদাকে ফোন করল। যিনি ফোন ধরলেন তিনি জানালেন সুভাষদা ঘুমিয়ে পড়েছেন ঘুমের ওষুধ খেয়ে, শরীর ঠিক নেই, অতএব এখন ডাকা যাবে না। অতএব আগামী সকাল পর্যস্ত অপেক্ষা না করে কোনও উপায় দেখল না সপ্তম। সে একটি একশো ডলারের নোট তুলে নিল। ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা। বেশ দামি কাগজ। সারা পৃথিবী এই নোটের দাপট মেনে নিয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনও দেশ নেই যেখানে এই ডলারের বিনিময়ে সেই দেশের কারেন্সি পাওয়া যাবে না। হঠাৎ তার চোখে ১৬



Leave a Comment