আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের রচনাবলী [খণ্ড-১৩] | Ashutosh Mukhopadhyay Rachanavali [Vol. 13]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮] থাকলো। সুচারু বিষ খেল। মৃত্যু হলো তার। অনলদেব পাগল হয়ে গেল। মন্দির থেকে দেবীমূর্তি উধাও হলো। প্রাসাদে আগুন লাগলো। সে আগুনে দগ্ধ হলো অনলদেব। একসময় নানা বাধাবিপত্তির মধ্য দিয়ে মঙ্গলশঙ্ধ এলো শুভলক্ষ্মীর পুত্র ত্রিদিবনারায়ণের হাতে। বত্রিদিবনারায়ণও সে TCs সচল করতে পারে নি। শুধু বিশ্বাস করেছে পৌৰ্রী উত্তরা কিংবা তার বংশধরদের হাতে হয়তো সে শঙ্খ আবার সচল হবে। মৃত্যুর ঘনঘটায় এ উপন্যাস পরিপূর্ণ। ক্রমাম্বয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। অলৌকিকতা প্রশ্রয় পায়। বিশ্বাস আর আত্মসমর্পণকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য লেখক কঠিন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। অন্যায়ের শাস্তি কী ভয়াবহ তা দেখান। এ উপন্যাসের স্মরণযোগ্য চরিত্র সুচারু। এমনর্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী-চরিত্র বাংলা কথাসাহিতো্যে দূর্লভ। সুচারু আমাদের মনের মধ্যে দাগ রেখে যায়। এমন একটি চরিত্রের SP হিসেবে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় অবশ্যই পাঠকসমাজে নন্দিত হবেন। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের যে কোনও উপন্যাস পড়েই মনে হয়, তিনি একজন নিপুণ কথক। কথকতার গুণে বহুকাল তিনি পাঠকসমাজের প্রিয় হয়ে থাকবেন মানবিক মূল্যবোধের জন্য তিনি শ্রদ্ধাযোগ্য। মানুষের মঙ্গল চান তিনি। সমাজের সুস্থতাই তার কাম্য। তিনি আশাবাদী। অন্যায়ের প্রতিবাদী, কিন্তু অন্যায়কারীকে আত্ম-সংশোধনের সুযোগ দেন। মানুষের বিবেক এবং শুভবুদ্ধি উদ্বোধনের নিরন্তর প্রয়াসী তিনি। তার প্রতিষ্ঠা, তার মর্যাদা তাই সহজে ক্ষুণ্ন হবার নয়। TSA ও সাহিত্য বিভাগ মানস মজুমদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়



Leave a Comment