আঘাত | Aaghaat

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ আঘাত এঁকেছে, একটা গরুও কিনেছে, গঞ্জে দুধও ভালো দামে বিকোয়। উঠানের একপাশে কিছু লাউগাছ-শাক-বেগুনও লাগিয়েছে, গড়েছে একটা তুলসী মঞ্চ, সব দেখে রতন। এর মধ্যে কূড়োন একটা মোড়া এনে দেয়-_ বসেন। রতনের নজর থেমে যায় গোলাবীর উপর! দেখছে রতন, লোকটার চোখ দুটো কি আদিম লালসায় চক্‌ DS করে ওঠে! অবশ্য রতন নস্কর গিরগিটির জাত, সহজেই সে প্রয়োজন মত রং বদলাতে পারে। তার রাগেরও যেমন বহিঃপ্রকাশ নেই, তেমনি আনন্দেরও। ওটা ওর মনের গভীরেই থাকে। রতন বলে-_বাঃ! সুন্দর ঘর বানিয়েছিস কুড়োন। কূড়োন বলে-_-আমি তো বাইরে বাইরেই থাকি গো, যা করার ওই গোলবীই করে মালিক। রতন মন্তব্য করে--লক্ষ্মী বউ। গোলাবী এর মধ্যে সামলে নিয়েছে, হাজার হোক মালিক, অন্নদাতা, তাই প্রণামও করে, রতন আশীর্বাদের ভঙ্গীতে ওর নরম নিটোল পিঠে হাত বুলিয়ে বলে-_থাক, থাক! মাঝে মাঝে রতন দরাজ দিল হয়ে ওঠে। অবশ্য ক্ষেত্রবিশেষে! না হলে এক পয়সাও সে কাউকে ছাড়ে-না, বরং অন্যের সব কিছু কেড়ে নিতে পারলেই তার আনন্দ। আজ পকেট থেকে কড়কড়ে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট বের করে বলে, FUGA, তোর বউকে একটা শাড়ি কিনে দিবি এই হাটে, রাখ। ON, যার জন্য এসেছিলাম, শোন কালই বনে যেতে হবে, দু'নৌকা কাঠের পারমিট বাড়িয়েছি, করাতকলে মাল নাই, আজই আড়তে গে সব ব্যবস্থা করতে হবে, আয়। রতন চলে যায়, কপিল জানে মুনিব কখন চালু হবে, তার এক হাতে লাঠি, বগলে ছাতা সব সময়ই থাকে, রতন একপা বাড়াতেই কপিলও ফটাস্‌ করে ছাতাটা খুলে মালিকের মাথায় ধরে। যেন রাজছত্র ধরে চলেছে সে, রতন বের হতে কুড়োন বলে, — ay দরাজদিল মালিক দ্যাখ। গোলাবীর ব্যাপারটা ভালো ঠেকে না, ওই লোকটার অনেক কিছু আছে, গঞ্জ দাপিয়ে বেড়ায়, কিন্তু চোখের চাহনি দেখে মনে পড়ে রাতের অন্ধকারে দেখা শিয়ালের কথাই |



Leave a Comment