ভ্রমণ সঙ্গী [সংস্করণ-১৯] | Bhraman Sangee [Ed. 19]

yu/ane সঙ্গী সংঘাত চলে দক্ষিণী শার্দূল টিপু সুলতান ও হিন্দু সামাজ্যের রূপকার মারাঠীবীর শিবাজী মহারাজের উত্তরপুরুষদের সাথে। ব্রিটিশের সাথে বারবার সংঘাতে হীনবল মারাঠা শক্তি পরাভুত হয় ১৭৬১তে আফগান শাসক আহম্মদ শা দূরানীর হাতে পানিপথে।১৭৯৯এ টিপুর পতন,আর ১৮০৩এ মারাঠা শক্তির বিনাশ ঘটে ব্রিটিশের কাছে। তেমনই আর এক স্বাধীনচেতা যোদ্ধার জাত রাজস্থানের রাজপুতদের সাথে বারবার সংঘাত ঘটে দিল্লীর মসনদের। তবে, সুচতুর ব্রিটিশ মিত্রতার সূত্রে রাণাদের হাতে স্বাধীনতা ছেড়ে রাজপুতানা AG অবশেষে শেষ স্বাধীন রাজ্য পাঞ্জাবও ব্রিটিশের দখলে আসে ১৮৪৮এ। কায়েম হয় সারা ভারত জুড়ে ব্রিটিশরাজ ৷ ইতিপূর্বেই ১৮১৮য় ব্রিটিশ দরবারের অঙ্গীভূত হয়েছে ভারত । শাসন চলে দীর্ঘ ১৩০(১৮১৮-১৯৪৭)বছর ভারতে ব্িটিশরাজের | ১৮৩৪এ আঞ্চলিক মুদ্রায় মোগল শাসকের মুখ খোদিত হলেও ১৮৩৫এ ব্রিটিশ রাজের মুখ খোদিত জাতীয় মুদ্রার প্রচলন করে ব্রিটিশ গড়ে ওঠে রাস্তাঘাট, রেল ভারতভূমে। ১৬১২য় প্রথম শিল্পও গড়ে গুজরাটের সুরাটে ব্রিটিশ। তবে, ব্রিটিশের আগেই (১৪৯৮)ভারতে পৌছান ইয়োরোপেরই পর্তুগাল থেকে ভাস্কো-ডা-গামা। গড়ে ওঠে ব্যবসা- বাণিজ্য ভারতের সাথে পর্তুগালের। ১৫১০এ গোয়া দখল করে পর্তুগীজরা। দখল থাকে ১৯৬১ পর্যন্ত পর্তুগীজদের হাতে গোয়া দমন দিউ-এর। কেবল পর্তুগীজ আর ব্রিটিশই নয়--ইয়োরোপ থেকে ফরাসি ও দিনেমাররাও ভারতে আসে পরে পরে। ব্রিটিশের অত্যাচার আর অনাচারে দেশময় অসম্ভোষ গড়ে ওঠে | তারই সাথে যোগ হয় শুকরের চর্বি লাগানো বন্দুকের টোটা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শূকর হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছে অস্পৃশ্য । স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর CHAN বিদ্রোহ ঘোষণা করে সারা ভারতে | সূত্রপাত দিল্লীর ৪০ কিমি উত্তরে মীরাটে। ১৮৫৭র এই বিদ্রোহ সিপাহী-বিদ্রোহ নামে পরিচিতি পেলেও প্রকৃতপক্ষে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম এই জন-জাগরণ। ভীত সন্ত্রস্ত ব্রিটিশ কঠোর হস্তে বিদ্রোহ দমনের সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ভাইসরয় নিয়োগ কবে সরাসরি রাজতন্ত্র কায়েম করে ভারতে | নানান জনমুখী কর্মসূচীও নেয় ব্রিটিশ। ১৮৭৬এ এমপ্রেস অব ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত সম্রাজ্রী হলেন মহারানী ভিক্টোরিয়া। তেমনই ব্রিটিশের অনাচার প্রতিরোধে ভারতবাসীও একজোট হয়ে ১৮৮৫তে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠন করে। ১৯০৫এ বাংলার শক্তিকে খর্ব করতে বঙ্গভঙ্গ করে ব্রিটিশ। আন্দোলনে গর্জে ওঠে সারা বাংলা। ১৯০৬এ স্বরাজের দাবি তোলে SAT | ১৯১৫য় মোহনদাস করমটাদ গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে প্রতিবাদে মুখর হলেন। ১৯১৯এ অহিংস আন্দোলন-_নেতৃত্ব দিলেন গান্ধীজী। বাংলার কবি রবীন্দ্রনাথ মহাত্মা অর্থাৎ মহান আত্মার শিরোপা পরালেন গান্ধীজীর শিরে। ১৯১৯এর ১৩ই এপ্রিল সমগ্র বিশ্বকে whee করে পাঞ্জাবে নিরস্ত্র জনতার উপর ডায়ারের গুলি চালনা সঙঘবদ্ধ করল সারা ভারতকে। ১৯২২এ গান্ধী হলেন TH | আর এক ব্রাহ্মণ সন্তান জওহরলাল নেহরুও তখন জেলে | বিলেতে লেখাপড়া করা যথেষ্ট ব্যুংপত্তির জন্য পণ্ডিত হয়েছেন মহাত্মার প্রিয় অওহরলাল। দেশকে নেতৃত্ব দিতে ডাক পড়ে নেহরুর। ১৯৩০এ ব্রিটিশের লবণ আইনের প্রতিবাদে NS পদযাত্রা, বিদেশী sy বর্জনের আওয়াজও তোলেন গান্ধীজী। ১৯৩০-এই মুসলিম কবি মোহম্মদ ইকবাল প্রস্তাব তোলেন মুসলিম হোমল্যান্ড পাকিস্তান (পাক অর্থ পবিত্র, তান অর্থাৎ দেশ)-এর। এমনই দিনে ১৯৩৮এ সংঘাত দেখা দেয় কংগ্রেসে। পাওয়ার পলিটিক্সের প্রতিবাদে চরমপছ্থীরা বাম সংহতি সাধনে ফরোয়ার্ড ব্লক গড়েন ১৯৩৯এ। পূর্ণাঙ্গ জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের আপসহীন সামাজ্যবাদ-বিরোধী বীর সেনানী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু SAGA অবস্থায় ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত থেকে কাবুলে গেলেন ১৯৪১এ। ১৯৪২৩এ প্রথম ভাষণ দিলেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আজাদ হিন্দ রেডিও থেকে নেতাজী সুভাষ-_“'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা CFF...” ইতালি, জার্মানি ও জাপান সরকারের সহযোগিতায় আজাদ হিদ্দ ফৌজের বীর সেনানীরা জাতীয় পতাকাও তোলেন ১৯৪৩এ আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ারে, ১৯৪৪এ মণিপুরের ময়রাং-এ। স্বাধীনতার উষাকালে মোহম্মদ আলি জিম্নার নেতৃত্বে মুসলিম লিগের ভারত ভাগের আওয়াজ ওঠে: / will have India divided, or India destroyed—Jinnah 388249 ve আগস্ট নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির বোদ্বাই অধিবেশনে প্রস্তাব ওঠে-- ব্রিটিশ, ভারত ছাড়ো। Ba আগস্ট সকাল থেকেই সারা তারত আন্দোলনের শরিক হয়। ব্রিটিশের দমননীতির কাছে সাময়িকভাবে আন্দোলিত হলেও ৫ বছর AE ১৯৪৭এ স্বাধীনতা আসে ভারতভূমে। ধর্মের কৃপাণে দ্বি-খণিত হয়ে ১৯৪৭এর ১৫ই আগস্ট Sane প্রাপ্তি OGL WN নেয় তারত থেকেটুকরো হয়ে পাকিস্তান নামে নতুন রাষ্ট্র। অবস্থানের'তারতম্যে নাম তাদের পুর্ব পাকিস্তান ও PER পাকিস্তান। তবে, বিপ্লবের মাঝ দিয়ে নতুন করে পালাবদল ঘটে--১৯৭]? এ ন্‌ পাকিস্তান হয়ে দয় এক স্বাধীন ae, 1আর ভারত ভারতইরয়েছে- যাগিতও সা ধূমধামে স্বা [৫০ ব্য aye WHR বর্ষ ১৮৯১৭-এর ১৫ই আগস্ট। তবে, India নামে আজ হা তার