For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সাতচল্লিশে ভারত স্বাধীন হবার আগেও ইংরেজদের সঙ্গে ভারতীয়দের
কত ফারাক দেখেছি। কেউ কাউকে আপনজন ভাবতে পারত না বা
ভাবতে চাইত না। অবশ্য শালজুড়ির কথা আলাদা। গ্র্যাগ্ cafes
মতো মানুষ বা মেলিণা| জারভিসের মতো মহিলা Teta Veta হয় না,
বা সর্বত্র বাস করে না। তাহলে তো ছুনিয়া থেকেই সাদা কালোর
তফাং ঘুচে যেত ৷ ate cas না হয় মিশনারি হিসেবেই ভারতে
এসেছিল | তার ভিতরের শিল্পী তাকে অন্য পথে টেনেছে। AATF
সমান চোখেই দেখার কথা তার। কিন্তু মেলিগু জারভিস তো
ইংরেজের মেয়ে, ইংরেজের বউ। এ-দেশের মানুষকে সে এমন ভাল
বেসেছিল কি করে জানি না। কালিম্পং ছেড়ে এই শালজুড়িতে এসে
পাকাপোক্ত হয়ে বসার পরে, বিশেষ করে এখানে ছোটদের এই BABI
করার পরে শালজুড়ি থেকে সাদা কালোর তফাৎ সে-ই খুচিয়ে
ছেড়েছিল দেশ স্বাধীন হবার আগেই | '..কিন্তু সেই দিদিমা দাদামশাইয়ের যুগে এ-দেশে এসে কোনো
অভিজাত ইংরেজ Fa] এক বাঙালী নেটিভকে একেবারে বিয়ে করে
বসতে পারে এটা অভাবনীয় ব্যাপার ছিল। মেটিলির চা বাগানের
দ[পটের অফিসারের সেই বোন অর্থাৎ আমার দিদিমা আগনেস তাই
করে বসেছিল । আমার দাদামশায় দিলীপ ব্যাপ্ডো ওই চা বাগানের
একজন সাধারণ এঞ্জিনিয়ার ছিল । কাজের স্থনাম ছিল খুব। কিন্তু
WH খেত, জুয়৷ খেলত, জলপাইগুড়িতে গিয়ে রেস CAAT | মানুষটা
দিলদরিয়৷ ছিল নাকি। আর চেহারাখানাও ভালো ছিল। তখন
ইংরেজের প্রতিপত্তি, তার ওপর মানুযটাও ছিল সাদা চামড়া ঘেষা।
শুরুতেই নিজের বন্দ্যোপাধ্যায় নাম ছেঁটে ব্যাপ্ডো করেছিল | দিলীপও
নয়, শুধু ব্যাণ্ডো বললেই ফ্যাক্টরির মানুষেরা তাকেই চিনত, বুঝত। দিদিমা! আগনেসকে দেখে তার মুণু ঘুরেছিল। তারই দাপটের
ম্যানেজারের বোন, হাত বাড়ালে সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দেবার
সতোই মেজাজী মানুষ সেই ভদ্রলোক, Bice! দাহুর ভয়-ডরটুকুও
উবে যাচ্ছিল। | THAR অনেকে সভয়ে AVF করেছে। কিন্ত 20