রবীন্দ্রনাথের ধর্মচিন্তা | Rabindranather Dharmachinta

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৮ রবীন্দ্রনাথের ধর্মচিন্তা বিচ্যুত হয়ে পড়েছিল। হিন্দুসমাজের বা সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে তাঁদের মধ্যে সার্থকতার যে সম্ভাবনা ছিল, মধুস্থদনের কৃতিত্বে তার পরিচয় পাওয়া যায়। মধুস্কদনের অতুলনীয় প্রতিভা ছিল, কিন্তু পাশ্চাত্য সাহিত্যের মধ্যে অবগাইন না করলে তিনি বাংলা সাহিত্যের নবযুগ স্থষ্টি করতে পারন্নে ali তিনি যে মহতাকাব্যের আদর্শ প্রবর্তন করলেন তা অতিমাত্রায় কৃত্রিম; কিন্তু তা-ই বাংলা সাহিত্যে নূতন প্রাণ সঞ্চার করল। মধুস্থুদনের কাব্য যুগান্তকারী স্থসাহিত্য, যদিও অননুকরণীয়। বাংলা সাহিত্যে মধুস্থদনের অনুকরণ সার্থক হয়নি--কিন্তু মধুস্থুদনের রচনাবলীই আধুনিকতার প্রবর্তন করেছে। স্বদেশের সঙ্গে CAPT রক্ষা! করেছিলেন বলেই মধুস্থদন সাহিত্য-জগতে যুগান্তর আনতে পেরেছিলেন। কিন্ত হিন্দুর সম|জ- জীবনের সঙ্গে সংযোগ না থাকায় মধুস্থদন বা ইয়ং camara হিন্দু- সমাজের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেন নি। সে দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন রামমোহন রায় বা ঈশ্ববচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মনীযীরা-_যারা পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভ করলেও দেশের প্রাচীন ভাবধার| থেকে বিচ্যুত হন নি। aa সমাজের মধ্যে একটা ঘোরতর বিপ্লৰ আনতে চান নি, সমাজের Fein দূর করে সমাজ- দেহকে FR করে তুলতে অগ্রসর হয়েছিলেন। ধর্মের নামে যে-সব FAN বা কদাচার সমাজের মধ্যে শিকড় গেড়ে বসেছিল, এই সব স্কারকরা সেইগুলোকে অপসারিত করতে চেয়েছিলেন | পাশ্চাত্য শিক্ষা তাদের মন্ত্র ছিল ন, জ্ঞানকে শাণত করেছিল এইমাত্র | অষ্টাদশ etal বা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের বাঙালীর জীবনধারার দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা! অনুভব করতে পারি যে, এই যুগে বাঙালীর উন্নতির পথ রুদ্ধ হলেও সামাজিক আচার- অনুষ্ঠানের প্রাচুর্য জাতির মধ্যে একটা হৃদ্য্তার সম্পর্ক পুষ্ট করে তুলেছিল । মুখ্যত এইজন্যই এ যুগে যে-সব মনীষীর আবির্ভাব



Leave a Comment