স্বামীজিকে যেরূপ দেখিয়াছি [সংস্করণ-৩] | Swamijike Jerup Dekhiyachi [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সর স্বামীজীকে যেরূপ দেখিয়াছি আমাকে পরিহাস করিয়া বলিতেছিলেন যে, তিনি কিন্তু বরাবরই স্বামীজীর মুখে শোনা প্রতোকটি কথা মানিয়া লইতে সমর্থ হইয়াছেন । aN 'সে সময়ে এই কথাবাতায় কোন মনোযোগ দেন নাই এলিলেই হয়. কিন্তু পরে এক সুযোগে আমাঞ্চে একান্তে বলিয়াছিলেন, “কেহ যেন এই ভেবে দুঃখ না করে যে, তাকে বোঝাবার জন্য অপর কাউকে বিলক্ষণ কষ্ট পেতে sre) আমি দীর্ঘ ছয় বৎসর ধরে আমার গুরুদেবের সঙ্গে সংগ্রাম করেছি, ফলে পথের প্রত্যেকটি খুটিনাটি আমার নখদর্পাণে ৷” এই প্রথম কথাবার্তার মধ্যে দুই-একটি বিষয় স্মৃতিপটে স্পষ্টভাবে জাগ্রত আছে। এককালে খ্রীস্টধর্ম বলিতে আমি বুঝিতাম ঈশ্বরকে জগৎপৈতা জ্ঞানে উপলদ্ধি করা। কিন্তু বহুকাল এই ভাবের উপাসনায় বিশ্বাস হারাইবার ফলে আমি অত্য্ত দুঃখিত ছিলাম। এরূপ ধারণার বাস্তব সত্যতা বা অসত্যতার দিকে দৃষ্টি থা রাখিয়া কেবল ধারণা বা কল্পনা হিসাবে ইহার মূল্য কি, তাহা ভাল করিয়া বুঝিয়া দেখিতে চাহিয়াছিলাম। কারণ আমি অনুমান করিয়াছিলাম, যাহারা এঁরূপ ধারণা পোষণ করেন, তাহাদের চরিত্রের উপর এবং সম্ভবতঃ তাহাদের সভ্যতার উপরেও উহা নিজের একটি প্রভাব বিস্তার করিবে। তুলনা করিয়া দেখিবার উপাদানের অভাববশতঃ বিষয়টি আমি বেশি দূর অনুধাবন করিতে পারি নাই। আর, আশ্চর্যের বিষয়, এমন একজন ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাওয়া গেল, যিনি আমাদের নিকট পাচরকম উপাসনা-প্রণালীর কথা বলিলেন, যাহাতে ঈশ্বরকে বাক্তিরূপে কল্পনা বা ধারণা করা হইয়া থাকে। তিনি এমন একটি ধর্মপ্রচার করিতেছিলেন যাহার প্রথম সোপান হইল ধর্মভাবগুলিকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভাগ করা। কয়েকটি ভারতীয় ভাবের Fory ও গানম্তীর্যে আমি বিশেষ আকৃষ্ট হই-_এ সকল ভাবের সহিত আমার এই প্রথম পরিচয়। বস্তুতঃ রূপকের অন্তর্গত Tou" ও চিজ্তাপ্রণালীর ভিন্ন গতি যেন সম্পদ বলিয়া মনে হইয়াছিল। দুষ্টান্তস্বরূপ সেই সাধুর গল্পটি উল্লেখ করা যাইতে পারে। এক চোর--ধরা পড়িয়াছে ভাবিয়া ভয়ে চুরিকরা বাসন-পত্র ফেলিয়া পলাইতেছে, আর সাধুটি সেই সব লইয়া তাহার পশ্চাতে ছুটিতেছেন। অবশেষে তাহার পায়ের নিকট সমস্ত জিনিসগুলি রাখিয়া সজলনয়নে সাধু বলিলেন, “প্রভু, আমি জানতাম না আপনি ওখানে ছিলেন। এসব জিনিস আপনার, গ্রহণ করুন। ABTA অপরাধ ক্ষমা করুন 1” সেই সাধুটির সম্পর্কেই আর একটি গল্প শুনিয়াছিলাম। গোখুরা সাপের দংশন হইতে রাত্রিকালে যখন তিনি



Leave a Comment