গ্রীষ্মবাসর [সংস্করণ-১] | Grishmabasar [Ed. 1]

আপনার কেমন লাগল মিঃ গুপ্ত? তপতী কি রলল গল্পটা পড়ে? কোনও ডিফেক্ট? একটু বড় হয়ে গেছে, না 1' 'বেশ হয়েছে ।” এতগুলো প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়ে সচ্চিদ্দানন্দ- বাবু মিসেস নাগের দিক থেকে তার ভাঁটার মত বড় বড় চোখ দুটো be করে সরিয়ে নিয়ে মিঃ রায়ের দিকে তাকালেন। রোগ মানুষ মিঃ রায়। মাথার চুল যৎসামান্য অবশিষ্ট আছে। শুকনো হাড়ালো চোয়াল 1 কালে ফ্রেমের পুরু চশমার Sts দিয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক মিসেস নাগের দিকে তাকিয়ে আছেন, কথা শুনছেন । সঙ্িদানন্দবাবু এবার তাঁকে দেখছেন বুঝতে পেরে ঈষৎ অপ্রতিভ হয়ে মিঃ রায় ঘাড় ঘুরিয়ে বাধানো দাত কটা বার করে বিনীতভাবে হাসলেন | “এখন কেমন আছেন 1 খুব ভালো না। কাল আবার কষ্ট পেয়েছি ।' ব্লড-প্রেসারে ভুগছেন সচ্চিদানন্দবাবু। মিঃ রায় সেই ory করছেন। watt করে সচ্চিদাদন্দবাবু তার জবাব দিয়ে তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন করেন £ 'আপনি ? কেমন আছেন আজকাল ॥' “ভালে না” একটু জোর দিয়ে কথা বলার দরুন অধ্যাপকের বাঁধানো দাত নড়ে ওঠে। 'আমার অসুখ Masta নয়। আরথ্যাইটিন কখনও সারে !” যেন ক্ষণকাল চুপ থেকে কথাটা ভাবেন সচ্চিদানন্দবাবু, তারপর আড়চোখে মিঃ রায়ের পাশে বসা ডক্টর নাগের মুখ পরীক্ষা করে তিনি মৃদু মৃদু হাসেন | “ওই যে-কদিন জোড়াতালি লাগিয়ে কাটে--বুঝলেন না ? আরথ্্‌াইটিসের রুগী মিঃ রায়ের শীর্ণ ঠোঁটে হাসি উকি দিল। সচ্চিদানন্দবাবু Sta রোমশ মোটা হাত তুলে মিঃ রায়কে যেন চুপ করতে ইঙ্গিত করলেন, তারপর প্রচণ্ড শব্দ করে হেসে উঠলেন। “বৈজ্ঞানিক রাগ করবেন আপনার কথা শুনে--ডক্ট্র নাগ গম্ভীর হয়ে গেছেন দেখতে পাচ্ছেন মিঃ রায় ?