রাগ সমারোহ | Rag Samaroha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিশেষ দ্রষ্টব্য এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে সপ্তকের মধ্যেই স্বরের শুদ্ধ ও বিকৃত রূপের অবস্থান রয়েছে অর্থাৎ 'সপ্তক' কথাটি উল্লেখ করা হলে বুঝতে হবে যে তার মধ্যেই সাতটি waa শুদ্ধ ও বিকৃত রূপ অন্তর্ভুক্ত ৷ “ত্রিসপ্তক' শব্দটি ব্যবহার করা হলে বুঝতে হবে যে মন্দ্রস্থান, মধ্যস্থান ও তারস্থানে স্বরের শুদ্ধ ও বিকৃত রূপ অন্তর্ভুক্ত । স্বরের শুদ্ধ ও বিকৃত রূপ সম্পর্কে অধিকাংশ সংগীত গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে শুদ্ধ সাতটি ও বিকৃত পাঁচটি মিলে মোট স্বরসংখ্যা বারোটি | হারমোনিয়ামে মন্ত্র - মধ্য - তারস্থানে স্বরের বিকৃত রূপকে বেধে দেয়া হয়েছে বলে এই ধারণা সকলের কাছে আরো বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই ধারণা শাস্ত্রমতে মেনে নেয়া যায় না। বারোটি স্বরের ধারণাকে মেনে নিলে “er অনুযায়ী চল্‌ স্বর এবং অচল স্বরের বিষয়টি আর গ্রহণযোগ্য হতে পারে না কারণ তা পরস্পরবিরোধী ৷ চল্‌ স্বরের ক্ষেত্রে যেহেতু স্থানচ্যুত হওয়ার বিষয়টি শাস্ত্র অনুসারে স্বীকৃত তাই waa বিকৃত রূপটি সেই স্বরেরই একটি অংশ আর সেই জন্য একই নামে অভিহিত | এছাড়াও এই ধারণাকে মেনে নিলে “acs Ass’ আর 'ত্রিসপ্তক' শব্দগুলি আর ব্যবহার করার অবকাশ থাকে না। এর পরিবর্তে 'দ্বাদশক' এবং ব্রিদ্বাদশক' শব্দ দুটি ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে। এমতাবস্থায় শাস্ত্রের গ্রহণযোগ্য যুক্তির স্বার্থে নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে স্বর সাতটি | ঠাট স্বরসমূহের যে বিশেষ রচনা অর্থাৎ সপ্ত স্বরের ভিত্তিতে যে শ্রেণিবিভাগ করা হয় এবং যা থেকে রাগ সৃষ্টি হতে পারে তাকে 'ঠাট' অথবা 'মেল' বলা হয়। দাক্ষিণাত্যের পণ্ডিত ব্যাংকটমূখী তার রচিত গ্রন্থে সপ্ত-স্বর অবলম্বনে বাহাত্তরটি ঠাটের কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে হিন্দুস্তানি পদ্ধতি অনুযায়ী পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ WSIS স্বরসমূহের ভিত্তিতে দশটি ঠাট গ্রহণ করেছেন৷ এই ঠাট-পদ্ধতি আমাদের দেশেও প্রচলিত । নিয়ম অনুসারে দশটি ঠাট নিম্নরূপ: ঠাটের নাম স্বর-সপ্তক ১ বিলাবল A রগ VW A H ন ২ কল্যাণ A রগ MW A ধ ন ৩ খাম্বাজ স রগ FT পর্ধ ণ ৪ কাফি স F জম্ম পধ 4 ৫ মারওয়া 7 খগ শপ ধ F ৬ ভৈরব 7 খ গ Y পদ ন ৭ পূরবী 7 খগ MW পদ ন যা আশাবরী স 4 BY পদ F > ভৈরবী 7 খজ্জ মাপ দ ণ ১০ টোড়ী A tt BW প দন রাগ নাদ থেকে শ্রুতি, শ্রুতি থেকে স্বর, স্বর থেকে সপ্তক, সপ্তক থেকে ঠাট এবং ঠাট থেকে রাগ সৃষ্টি হয়। একটি ঠাট থেকে বহু রাগ সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিটি রাগ বিশেষ নিয়মের মাধ্যমে স্বরবিন্যাস দ্বারা রচিত | স্বর, বর্ণ ও সংগীতের বিভিন্ন অলংকারের সাহায্যে যে মনোরঞ্জনকারী বিশেষ ধ্বনি শুনে মন প্রসন্ন হয়, তাকে “AN বলা হয়। ১৬ রাগ সমারোহ



Leave a Comment