এই নরদেহ [খণ্ড-২-৩] | Ei Naradeha [Vol. 2-3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এই নরদেহ ১১ অতুল চ্যাটার্ডির সম্পত্তির যেমন একটা ভাগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি আত্মীয়তার সূত্রে লেবার-ট্রাবল্‌ থেকেও উদ্ধার পাওয়া যায় চিরকালের জন্যে। এমন সুযোগ রোজ-বোজ আসে না আর হয়ত ভবিষ্যতেও কখনও আসবে AT | এর অনেকদিন পরে কথাটা পাড়তেই অতুল চ্যাটার্জি আনন্দের সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন | এতেও মা কোনও উত্তর দেয়নি। , কিন্তু মা আগে-ভাগে সৌম্যর জন্যে আর একজন অজ্ঞাতকুলশীল পাত্রীর বিয়ে দেবার সবরকম পাকা বন্দোবস্ত করে রেখেছেন! তবে দেরি হলেও শেষ ARG মা যে পাত্রীকে দেখতে রাজী হয়েছে এইটেই যথেষ্ট | মা জিজ্ঞেস করেছিল-_পাত্রী কী রকম? মুক্তিপদ বলেছিল-_তোমাকে তো বলেছি মা যে পাত্রী এম-এ পাশ-_ --এম-এ পাশ নিয়ে কি আমি ধুয়ে খাবো বলতে চাস? আমি BT পাশ করেছি? মুক্তিপদ বলেছিল-_তা নয়, তোমার ওই খিদিরপুরের পাত্রীর চেয়ে ভালো সেই কথাটাই বলতে চাই আমি- তাতেও যখন মা কোনও জবাব দিলে না তখন মুক্তিপদ বলেছিল-__তুমি একবার দ্যাথোই না মেয়েটিকে--বিয়ে হোক আর না হোক, দেখতে দোষ কী? মা [বলেছিল-__আমি' তাদের বাড়িতে মেয়ে দেখতে যাবো? তুই বলছিস কী? She i বলছিল--তাদের বাড়িতে না যাও, অন্য জায়গাতে গিয়েও মেয়ে দেখতে পারো। আগের পাত্রীকে MATS তো তুমি গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলে, এ পাত্রীকেও তুমি না-হয় গঙ্গার ঘাটে গিয়ে দেখতে পারো। তার ব্যবস্থাও আমি করতে পারি-_ এর পর মুক্তিপদ বলেছিল-_তা যদি না হয় তো পাত্রীর বাবা নিজেই পাত্রীকে নিয়ে তোমার কাছে আসতে পারে | তাতে তোমার আপত্তি কী? না! তাতে মা'র আপত্তি ছিল না। শেষ পর্যন্ত মল্লিক-মশাইকে সেই জন্যে কয়েকবার পাত্রীদের বালিগঞ্জের বাড়িতে যেতেও হয়েছিল। মুক্তিপদের ইচ্ছে ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ের আদি- পর্বের ব্যাপারটা ঢুকে যাক, তাতে 'স্যাকস্বি মুখার্জি কোম্পানি' লেবার-ট্রাবলের হাত থেকে বেঁচে যাবে। দিনক্ষণ আগে থেকেই সব পাকা হয়ে গিয়েছিল। সেই FAN avo পাত্রীর বাবা তার ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে এ-বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়িতে অতুল চ্যাটার্জি প্রথমেই ঠাকমা-মণিকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। ঠাকমা-মণি বললেন-_থাক্‌ বাবা, পায়ে হাত দিতে হবে না-_ কিন্তু তা বললে আর কে শোনে? ততক্ষণে অতুল চ্যাটার্জির ছেলে ঠাকমা-মণির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলে। ঠাক্মা-মণি সেবারও বললেন-_থাক্‌ থাক্‌ বাবা... কী নাম তোমার? -_আমার নাম শ্রীসুবীর চ্যাটার্জি -_ ততক্ষণে পাত্রী নিজেও এগিয়ে এসেছে, সেও ঠাক্মা-মণির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলে। সেবারও ঠাক্মা-মণি বললেন-_থাক মা, থাক... তোমার নাম কী মা? -__বাঃ, চমৎকার নাম তো তোমার | তুমি সুখী হও মা-_ মুক্তিপদ সবই দেখছিল Obs দৃষ্টি দিয়ে। অনেকদিন থেকেই মা'কে দেখে আসছিল সে, এখনও দেখতে লাগলো। মনে হলো মা যেন পাত্রীকে দেখে খুশী হয়েছে মুখে কোথাও বিরক্তি বা বিতৃষ্ণা নেই। অতুল চ্যুঁটার্জি সাহেব মানুষ। পূর্বপুরুষরা যা-ই থাকুন, এখন পৃথিবীর সব দেশে তাকে মিস্টার চ্যাটার্জি নামেই ডাকা হয়। অধীনস্থ কর্মচারীরা তাকে 'সাহেব' বলেই BA সাবা জীবন যতই কোট



Leave a Comment