মণিমুক্তো | Manimukto

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মণিমোহনের কথাই বা মনে পড়ে কেন ? চোদ্দ বছরের কিশোরী মেয়ের বালির গড় ঘর ভেঙে গেলে যে আশ্বাস দিয়েছিল একদিন- Ste কেন মিসিবহিন, তোমার কত সুন্দর বর আর মজবুত ঘর হবে একদিন । এ তো বালির ঘর। ইয়ে ঝুটা হায়! সে ঘর ঝুটা। বালির ঘর সমুদ্রের ঢেউ এসে ধুয়ে মুছে দেয় | আসল ঘরও তো ভেঙ্গে গেল ঝড়ের দাপটে । কই, মণিমোহনে্ন কথা তো সত্যি হল না। একবার দেখা পেলে তার কাছ থেকে বেশ কড়া গলায় জবাব পেতে চাই,--কিশোরী মেয়ে পেয়ে এমন নির্মম পরিহাসের কথা কেন সে শুনিয়েছিল ? মণির খবর যে একেবারেই জানিনে তা নয়। জানি, বাবার মৃত্যুর পর বোদ্বাই-এর শেঠ ate aces শাড়ির আড়তে শাড়ি বিক্রির কাজ নিয়েছে। শাড়ি, রাউজ পীস আর সায়া, Si নিয়ে দে ভারতবর্ষের এদেশ সেদেশ ঘুরে বেড়ায় | আর কোন গোপন কাজও সে কী করে? সন্দেহ হয় আমার | দাদারের শেঠ ate an পানওয়ানির আসল পরিচয় আমার জান] অআছে। শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা তার ছুতো মাত্র। গোপনে কালো- বাজারের Hasta yor পথে চোরাচালানির মেকি জুয়েলারির কারবার তার আসল ব্যবসা। আর পে ব্যবসায় পানওয়ানি শেঠ মস্ত ধনী । মণিমোহন কী শুধুই শাড়ি বেচে ? 'যা খুসি করুক না কেন সে তাতে আমার কীই বা আসে যায়? আছা, তবুও কেমন যেন মমতা জাগে । তার মনিব আমার বাবার মৃত্যুর পর সে ব্চোরী মুখ তুলে কোন দিনই বাবার বিশ্বস্ত কর্মচারি হয়েও আমাদের দুর্যবহারের ফোন প্রতিবাদই করেনি | এমন কী বাৰা বেঁচে 'থাকতেও কোনদিন সে নিজেকে আমার সামনে মেলে ধরেনি কখনো। মায়ের কড়া দৃষ্টি ছিল তবুও সময় সুযোগ খুঁজলে কী একেবারেই বিফল হত। আগি যে একেধারে তাঁকে পাত্তা! দিতাম না এমন কথা জোর গলায় বলি বা কেমন করে! ১২



Leave a Comment