বকুল | Bakul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তোমার মতো ছেলেমেয়েদের বটানি পড়িয়ে পড়িয়ে জীবনটাই বাতিল করব?” এবার রোজি সত্যি সত্যি রেগে যাবে। বকুল হেসে ওঠে। ড্রাইভার জিজ্ঞেস করে, “স্যার, কিছু বলছেন?” “না।” বকুল চেয়ে দেখে গাড়ি গঙ্গার ব্রিজের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। বকুল ঘড়ির দিকে তাকাল। সাড়ে বারোটা বাজে । গাড়ি এসে ঢুকল লালদীঘি হাউসিং এস্টেটে। রোজিদের FEU গেটের কাছেই। রোজি একতলায় দু নম্বর ফ্ল্যাটে থাকে। বকুল গাড়ি থেকে নেমে দরজায় কলিং বেল টিপল। বেল বেজে চলল। কিন্তু রোজির সাড়া- শব্দ নেই। বিরক্ত হয়ে বকুল একটানা বেল বাজাতে লাগল। মিনিট দশেক পরে স্লিপিং গাউন পরা রোজি দরজা খুলল। কিন্তু দরজার বাইরে বকুলকে দেখেই কিরকম চমকে উঠল। ভিতরে ঢুকে বকুলও চমকে উঠল। তার নাইট ড্রেস পরে দাঁড়িয়ে আছে হাফিজ। হাফিজ রোজির সহকর্মী, বহরমপুরেই বাড়ি। কিন্তু এত রাতে হাফিজ এবেশে এখানে কেন? বকুলের মাথার শিরাগুলো যেন যন্ত্রণায় চড়চড় করে ছিড়ে যায়। সে ঝটিতি শোবার ঘরে এসে রোজির মুখোমুখি হয়। চাপা গলায় ক্ষব্ধকন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “এত রাতে আমার নাইট ড্রেস পরে হাফিজ এখানে কেন?” “সন্ধ্যাবেলায় এসেছিল | গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেল। তাই থেকে গেল।” “গল্প করতে করতে রাত হয়ে গেল, তাই থেকে গেল। বাড়ির লোকেরা চিন্তা করবে, খোঁজাখুঁজি করে হয়রান হবে, সে কথা একবারও মনে হল না? তুমি আমাকে তোমার BRANT গল্প বিশ্বাস করতে বলছ? তুমি ওকে GH চলে যেতে বল। নইলে আমি গুলি করে মেরে ফেলব।” “কেন?” “তাও তো A | বাড়িতে বলে এসেছে, কান্দি যাচ্ছি কি কলকাতা যাচ্ছি। এখন ফিরে গেলে বাড়ির লোক কি ভাববে!” “তুমি কি বলতে চাইছ?” “আমি কি বলতে চাইছি তা তুমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছ। এও বুঝতে পারছ যে আমি যা বলছি তা ঠিক। আমারই ভুল হয়েছে। আমার এখানে আসা ঠিক হয় নি। আমিই চলে যাচ্ছি। তোমরা থাক।” বকুল দরজার দিকে পা বাড়ায়। কিন্তু ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ডেরা কি ভাববে? সে থমকে দাঁড়ায়। আর wall কলিং বেলটা বেজে BTS | বকুল দরজা খুলে দেখে পিওন বুক হাতে একজন মেসেঞ্জার। সে বকুলকে একটা মেসেজ দেয়। পিওন বুকটা সই করে দিয়ে বকুল মেসেজটা পড়তে শুরু করে। “জয়েন আট ওয়ান্স উইদাউট আ্যাভেলিং জয়েনিং টাইম।” এস. পি. লামলিং মেসেজ দিয়েছেন। বকুল হাফ ছেড়ে বাঁচে | গাড়ির কাছে এসে ড্রাইভারকে বলে, “চলুন আমরা রাস্তার ধারের হোটেল থেকে কিছু খেয়ে নেব। আমাকে জয়েনিং টাইম না নিয়েই জয়েন করতে বলেছে। সকালের মধ্যেই আমরা বৈকুণ্ঠপুর রওনা হয়ে যাব।” পরের দিন বিকেল নাগাদ বকুল CASITA আ্যাডিশনাল এস.পি.-র অফিসে পৌছুল। সুখেনবাবু বকুলের সামনে আর একটা মেসেজের কপি মেলে ধরল। পুলিস ডাইবরেক্টরেট থেকে সুখেন বাবুকে পাঠানো MAR! আঙ্জ দুপুরবেলাতেই এসেছে। “ইউ আর ১৪



Leave a Comment