বাংলার পুরনারী [সংস্করণ-১] | Banglar Puronari [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঢ স্থান নেই। পুরুষের দ্বিচারিতা, নারীর বিশ্বাসঘাতকতা, সমাজের প্রবঞ্চনা কোন কিছুই ' নারীকে প্রত্যাঘাতের হিংশ্রকামনায় উদ্বেল করেনি। “কাঞ্চন” গল্পে কাঞ্চনমালার পরিণ্মম কি faya, কি মর্মান্তিক, তবুও পরিশেষে তাতে কোন প্রতিহিংসা নেই। - “একদিন সকলে দেখিল যে সে রাজঅন্তঃপুরে ঢুকিল; পালঙ্কে রুক্মিণী বসিয়াছিল, খানিক স্থির দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিয়া রহিল । বাহিরে আসিয়া দেখিল, রাজকুমার দরবারে আসীন, তাহার রূপ চাদের মতন আরো বেশী ঝলমল করিতেছে। সেইখানে কয়েক মুহূর্ত দীড়াইয়া পাগলী চলিয়া গেল। কোথায় সে গেল, আর কেহ জানে না, তদবধি তাহাকে সে রাজ্যে আর কেউ দেখিতে পাইল না।” (পৃ. ১১৬-১১৭) রাজকুমারের প্রবঞ্চনা, রাজকুমারী রুক্মিণীর ষড়যন্ত্র কোন কিছুই এক সামান্যা নারীর অসামান্য প্রেমকে প্রতিহিংসার পথে নিতে পারল না। বাঙালি নারীর সার্থকতা এইখানে | আত্মবিলোপের নির্মম পরিণতিকে মেনে নিয়ে সে আত্মাহুতি দেয় নদীর জলে। তার বেদনার্ত, হৃতশ্রী জীবনের শেষ জবানবন্দী সে দিয়ে যায় নদীকে, কোন মানুষকে নয় ঃ “নদীতীরে বসিয়া কাঞ্চন বলিল, 'নদী! আমি তোমার স্রেোড়ে স্থান পাইতে আসিয়াছি। আমি যে মরিতেছি তাহা যেন কেহ জানে না, তোমার ঢেউগুলি যেন কাঁদিয়া কীদিয়া সে কথা প্রচার না করে। হে টুনটুনি পাখি, নদীর চরার হলদে পাখী, তোমরা আকাশে উড়িয়া আমার মৃত্যুর কথা কাহাকেও বলিও না। হে আকাশব্যাপী বাতাস, জল-স্থলের সকল HH তুমি জান, আমার কলঙ্কের কথা তুমি সবই জান, কাহারো কানে কানে আমার মৃত্যুর কথা বলিও না, তুমি রাত্রির সাক্ষী, দিনেরও সাক্ষী, সকলই তুমি জান, আমার মৃত্যুর কথা গোপন রাখিও ।” (পৃ. ১১৭) পদাহত প্রেমের লাঞ্ছনা, প্রবঞ্চিত প্রেমের বেদনা গোপন থেকে যায় মানুষের কাছে, শুধু নিরর্গের অসন্তর্মোক থেকে Ofte পবন মর্মরে, জলের কলধ্বনিতে, পাখীর গুঞ্জনে তা যুগান্তরের ব্যর্থ মানবের নীরব HUAI আএং রচনা করে। এমন আগখেণশহীন ব্যর্থ প্রেমের FABIA নদীর মতই বহতা ধারায় অনস্তের অভিমুখে চলে। “নদী নীরবে সমুদ্রের দিকে চলিয়াছে” — এ সন্তাপের ধারাও যেন সমুদ্রগামী -_-সেই অনন্তের YHA পারাবারে মেশে 'যেখানে সংসারের আনন্দ লহরী আড়াল করে রাখে বেদনার ফগ্গুধারা। দীনেশচন্দ্র সেন একবার লিখেছিলেন ঃ “...পল্লীগ্রামের স্বভাবসিদ্ধ ছায়ায় অনেকগুলি কলকণ্ঠ কবির আবির্ভাব হইল |” (দীনেশচন্দ্র সেন, বঙ্গভাষা ও সাহিত্য, যষ্ঠ সংস্করণ, পৃ. ৫৩০) বাংলার স্বভাবসিদ্ধ ছায়ায় কবিকণ্ঠে কোন HVS নেই। হিংস্রতা তাই সেখানে অনুপস্থিত | STB প্রেম নিনাদিত — ভাবেঘ্ন মাহাত্ম্যে, প্রকাশের বৈচিত্র্যে, কথার ব্যঞ্জনায় সে প্রেম কি অমেয় মাধুরীকে বহন করছে তা কবিদের কাব্যগাথা, গল্পকারের অনবদ্য গদ্য রচনায় বার বার ধরা পড়েছে। বাঙালি কবির কবিত্বশক্তি.ক্রে দীনেশচন্দ্র “sage বলে বর্ণনা করেছেন! তার কথা এই রকম ঃ “বঙ্গদেশে সম্প্রতি যে অপূর্ব কবিত্বখনি পল্লীগাথায় আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহাতে এ দেশ



Leave a Comment