তিন ছয় নয় | Tin Chay Nay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তিন ছয় নয় ১৭ অনিচ্ছে সত্বেও পেছন পেছন গেলাম। তিনি সোজা রাস্তা দিয়ে ততক্ষণে লাইব্রেরিতে গিয়ে বসেছেন। আমি অপরাধীর মত স্টাড়ালাম সামনে গিয়ে। বললাম--আমায় ডেকেছিলেন স্তার' আপনি? তিনি বললেন-_ যা, ভারতবর্ষে” তুমি একট] গল্প লিখেছ ? ভারতবর্য* ! লিখেছি আর কোথায়, পাঠিয়েছি বটে! কিন্তু সে তো কারো জানবার কথা agi যদ্দি কেউ জেনে থাকে তো জেনেছে একমাত্র পোস্টাপিসের পিওন । আর, সে তো ছাপাই হয় নি। হবেকিনাতাই বা কী করে জানব! সবিনয়ে বললাম --একটা গল্প পাঠিয়েছিলাম স্যার ওখানে | অমলবাবু বললেন-_সেটা ছাপা হবে। এ মাসেই বেরোবে । এসেছিলাম শাস্তির আশঙ্কা করে, কিন্তু এ যে সেই নরুনের.. বদলে নাক। তবু মুখ দিয়ে কোনো কথা বেরল না। জিজ্ঞেস করতে পারলাম না| অমলবাবু “ভারতবর্ষ পত্রিকার কে! সম্পাদক তো জলধর CAA! অমলবাবু তো সাহিত্যিকও নন যে সে খবর জানতে পারবেন | ভেবে ভেবে কোনো কুলকিনারা করতে পারলাম না। অমলবাবু আবার বললেন--কাগজ বেরলে তুমি সম্পাদকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসো | টাকা! শুধু সোনা নয়, আবার সোহাগ! ! রাজকম্যাই নয়, আবার অর্ধেক রাজত্বও | বললেন- হ্যা, প্রথম লেখার STD ওঁরা টাক! দেন না বটে, কিন্ত তুমি পাবে। তবে':-. বলতে গিয়ে থেমে গেলেন। তারপর বললেন-_ কিন্ত তুমি ও রকম অশ্লীল গল্প লিখতে গেলে কেন ? লেখাটা আমি পড়েছি, তুমি লিখতে পারবে একদিন, কিন্তু তুমি তো এখনো দেখতে শেখনি-_ বস্তুকেই দেখেছ কেবল, বাস্তবকে তো দেখনি; শুধু ৪০৮-ই দেখেছ, truth col দেখ নি--ও ছুটোতে যে অনেক তফাৎ ।--কিছু মনে কোরো না, তুমি আমার ছাত্র বলেই তোমাকে এসব বলছি-_



Leave a Comment