রবীন্দ্রসাহিত্যের আদিপর্ব | Rabindrasahityer Adiparva

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
16 বিরূপ বাক্য, বছ ব্যঙ্গোক্তি তাকে আত্মস্থ করতে হয়েছিল। বাড়ির আত্মীয়- স্বজনেরাও তার উপর কোনে! ভরম! করতে মা পেরে হতাশ হয়েছিলেন। কবি নিজেও যেন নিজেকে ঠিক উপলক্ধি করতে পারছিলেন না। নিজের হৃদঁয়- অরণ্যের মধ্যেই প্রতি্মনিত হচ্ছিল তার অস্তরের গুপ্ত ক্রন্দমন। 'নিরবরের স্বপ্নভঙ্গ) হতে তখনও অনেক বিলম্ব। তাই পরবর্তা কালেও নিজের সেই অবস্থাটার কথা স্মরণ করে কবি বলেছিলেন-- কুঁডের ভিতরে কাদিছে গন্ধ অন্ধ হয়ে-- Stare আপন মনে, কুসুমের দলে WH হয়ে করুণ কাতর স্বনে। কিন্তু তবু তিনি মনের আশ! ছাড়তে পারেন নি। তাই “অনাদূর” ও অবহেলা'র মধ্যে দিয়েই অগ্রসর হয়েছিলেন তার “সন্ধ্যাপ্রদীপ” হাতে নিয়ে। “দিনের পথিকের পথকে আলোকিত করে তোলার উদ্দেশ্যেই তার এই যাত্রা। মনের এই দৃঢ়তাটুকুকে Sarl করে তিনি যেন অস্তর থেকেও আশ্বাস পেয়েছিলেন-_ ভয় নাই তোর, ভয় নাই ওরে, ভয় নাই, কিছু নাই তোর ভাবনা। Fa ফুটিবে, বাধন টুটিবে, পুরিবে সকল কামন1। নিঃশেস হয়ে যাবি যবে তুই ফাগুন তথনো যাবে না। পক্ষ করতে হবে, প্রথমাংশে কবির যে মনোবেনা এবং দ্বিতীয়াংশে তারই ay RATT ও অভয়বাণী, তা কবিকঃ থেকে নিঃসৃত হয়েছিল বহুদিন পরে, নিজের সম্বন্ধে যখন তার মনে জেগেছে অবিচল প্রত্যয়। আর, আজব মামরাও যে সেই ছোটো বালকটিকে পরিচিত করতে প্রবৃত্ত হয়েছি, তাও তাঁকে পুরোপুরি জানার পরেই। 'রবি' যখন তাঁর পূর্ণতেঞ্জে বিশ্বকে আলোকিত করেছেন, তৎনই আমরা ফিরে তাকিয়েছি সেই উদয়াচলের দিকে | কৰি নিজেও জীবনের অস্তিমে পৌছে তার সেই গ্রত্যুষপর্বের সাহিত্যকতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন- প্রণাম আমি পাঠান গানে উদ্য়গিরিশিখর-পানে ' অস্ত মহাসাগর তট হতে-



Leave a Comment