স্মৃতি-বিস্মৃতি | Smriti-bismriti

প্রবেশ করিয়া তাহাকে যেন বাংলার রসে রসাইয়া লয়।” * “* - এই 'সলহক্ষরা সুধামাখা মাতৃকঠের শিল্পী দক্ষিণারগ্ান। কবি তার সম্পর্কে বলেছেন, “দক্ষিণাবাবুকে eT | তিনি ঠাকুরমার মুখের কথাকে ছাপার অক্ষরে তুলিয়া পুঁতিয়াছেন তবু তাহার পাতাগুলি প্রায় (তেমনি age তেমনি তাজাই রহিয়াছে। রূপকথার সেই বিশেষ ভাষা বিশেব রীতি, তাহার সেই প্রাচীন সরলতাটুকু তিনি যে এতটা দূর রক্ষা করিতে পারিয়াছেন, ইহাতে তাহার AH রসবোধ ও স্বাভাবিক NAAT প্রকাশ পাইয়াছে ।” গন্ধবকারের নিবেদনে (ভাদ্র ১৩১৪) দক্ষিণারঞ্জন তার শৈশবানুভূতি আর শিল্পবোধকে Tayi ভঙ্গীতে প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এক দিনের কথা মনে পড়ে, দেবালয়ে আরতির বাজনা aiferay বাভিয়া থামিয়া গিয়াছে, মা'র আঁচলখানির Tora গুইয়া রূপকণা শুনিতেছিলাম। ‘CONE ফুল ফুটেছে,” WA মুখের এক একটি ব.থায সেই আকাশ-নিখিল-ভরা জোৎস্নার রাঞ্যে জ্যোৎন্নার সেই নির্মল শুভ্র পটখানির উপর পলে পলে, কত বিশাল 'রাজ-বাজত্ব, কত 'অচিন্‌ “fer রাজপ্রী, কত চিব্সুন্দর রাজপুত্র বাজকন্যার wate ছবি আমার শৈশবচক্ষর সামনে সত্যকারটির মত ফুটিয়া উঠিয়াছে। সে যেন কেমন-- কতই সুন্দর! পড়ার বইখানি হাতে নিতে নিতে ঘুম পাইত, কিন্তু সেই HABA তা'রপর GY রপর করিয়া কত রাত জাগাইযরাছে! তা'রপর গুনিতে শুনিতে গুনিতে, চোখ বুজিয়৷ আসিত-- সেই অজানা রাজ্যের সেই অচেনা রাজপুত্র সেই সাত সমুদ্র তের নদীর ঢেউ ক্ষুদ্র বকখানির মধ্যে স্বপ্নের (ঘারে খেলিয়] বেড়াইত,- আমার মত দুরন্ত শিশু! — “yw হইয়া ঘুমাইয়া পড়িতাম।” স্বপ্নদ্রষ্টা শিল্পী 'নিবেদনে'র শেষে বলেছেন, “শরতের ভোরে ঝুলিটি আমি সোনার হাটের মাঝখানে আনিয়া দিলাম। — জ্যোৎস্নাবিধৌত fam সন্ধ্যায় আরতিবাদ্য বাজিয়াছে। ae যাদের ঝুলি, তাদের কাছে দিয়া- বিদায় হইলাম ।” দক্ষিণারঞ্জনের রূপকথার জগৎ শরতের ভোর ও (জ্যাৎস্নাভরা সন্ধ্যায় পরিপূর্ণ একটি re কোমল Fra প্রাচীন সরলতাযুক্ত জগৎ এই রূপকথার জগৎ। 'ঠাকুরমা'র ঝলি'র সূচনায় দক্ষিণারপ্রন উৎসর্গস/ত্রে একটি অপূর্ব কবিতা লিখেছেন বাংলার শিশুদের উদ্দেশে-_ হাজার হাজার রাজপুত্র রাজকন্যা সবে রূপসাগরে সাঁতার দিয়ে আবার এল কবে। হাউ we কাউ শব্দ শুনি রাক্ষসেরি পুর-_ না জানি সে কোন্‌ দেশে না জানি কোন্‌ দূর! TSA বৌ! STE ঢাক,' শিয়াল পণ্ডিত ডাকে,-- ১৫