সাহিত্য-বিবেক | Sahitya-bibek

তার আনন্দই শিল্পের জগতে স্বীকৃত | ঘ) 'আনন্দ” শিল্পের উপাদান নয়, কিন্তু আনন্দদানে শিল্পী ও শিল্পের সার্থকতা। জীবনের as জটিলতা যত সমস্যাই শিল্পে রূপায়িত হোক না কেন যে শিল্পকর্ম আনন্দ দান করে না তার মূল্য কোথায় ? ভাববাদী এবং মান্মবাদী শিল্পী-দাশনিকেরা সকলেই একথা মেনেছেন, শিল্পকে শিল্প হিসেবে লার্থক হতে হবে, এই হচ্ছে প্রথম শর্ত। বাস্তবের দাবি মানতে গিয়ে শিল্প প্রচার-পত্রিকার সঙ্গে নিজের পার্থক্য লুপ্ত করে TAs এমন কেউই বলেন নি। তবে বিশুদ্ধ শিল্পের অজুহাতে কলাকৈবল্যবাদী জীবনসম্পর্ক-বিচ্ছিন্ন আনম্দের সন্ধান করেন, এবং MHA জীবনের APH, সমাধান ও মুক্তির রূপ প্রকাশিত হতে দেখলে তবে আনমন্দলাভ করেন। ‘steer কিসে কলাকৈবল্যবাদীর সঙ্গে wa ats মতভেদ শুধু সেই att | AWA শিল্পসাহিত্যে “আনন্দই” সন্ধান করেন সকলে | এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শিল্প থেকে আনন্দ লাভ হয় কেন এবং কিভাবে ? প্রথমেই মেনে নিতে হবে, শিল্প সাহিত্য থেকে যে আনন্দ লাভ হয় তা নিমস্তরের ae নয় অথবা fq লাঙালাভের সঙ্গে যুক্ত avi এলিয়ট এই আনম্দকে সঠিক কারণেই বলেছেন” Superior amusement.’ এই ‘Superior an.usement’ লাভ হয় কিভাবে? প্রথমত, সুগঠিত শিল্পরপমাত্রই আনন্দ দিয়ে থাকে। দ্বিতায়ত, ব্যক্তিচিতের স্বার্থপরতার আবরণ ছিন্ন করে শিল্প বৃহৎ জীবনের সঙ্গে আমাদের মুখোমুধি করে দেয় বলে শিল্প আমাদের আনন্দ দান করে। তৃতীয়ত, MBNA যা অসুন্দর ও পীড়াদায়ক শিল্পে সমপিত হয়ে তা হয়ে ওঠে সুন্দর ও আস্বাদ্ধ এবং সেই কারণে আনন্দদায়ক । চতুর্থত, আমাদের ব্যক্তিজীবনের সত্যই সাহিত্য বা শিল্পে রূপারিত হয়। ফলে এ আনন্দ হয় পিঞ্জের অডিজ্ঞতাকেই আস্বাদের আনন্দ। eeeশিল্প থেকে আনন্দলাভ হয় কেন, সে বিষয়ে হয়ত আরও মানা SY উচ্চারণ Sai যেতে পারে, (4s সত্য একটাই, দুখলাভের oy কেউ শিল্পচর্ঠা করে না। আনন্দই শিল্পের জগতে অস্বিষ্ট। পূর্বেই বলেছি, হাবার্ট রীড-এর প্রদত্ত সংজ্ঞায় সৌন্দ শব্দটি অনুপস্থিত | এবং এই অঙ্পস্থিতি তার সচেতন মনের ক্রিয়ারই ফল। কিন্তু শিল্পী- সাহিত্যিককে যে বস্তুর আনন্দদায়ক রূপ-নির্মাণ করতে হয় তা আপাত UT হোক বা না-হোক শিল্পীর কৌশলে রূপাস্তরিত হয় শৈল্পিক সৌন্দে। বস্তুজগতের সোন্দর্যমাপক ay এর স্বভাব ধরা না পড়লেও শিল্পী ও দার্শনিকেরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করেছেন সেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ও eae নির্ণয় করতে |