শুভায় ভবতু [সংস্করণ-৬] | Shubhaya Bhabatu [Ed. 6]

তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা ছাড়া পরিত্রাণ পাবার অন্য কোনও উপায় খুঁজে পেলেন না। দাদা বললেন--“কেন তুই সব কথা জানালি না রে হতভাগা! কেন আমায় এতবড় দাঁগাটা দিলি 2” দাদা অবশ্য দাঁগার ঘা শুকিয়ে যেতেই আর একটি বিবাহ করলেন। সে বৌদির বাবা মদ খেতেন তাই তার আত্মহত্যা করার প্রয়োজন ছিল ন|। দাদা দাড়ি গৌফ কামিয়ে চুল ছেঁটে লাহোরে ফিরে গেলেন নতুন বৌ face | | আমি রইলাম ভয়ানক মনমরা হয়ে। আগের তিলওয়াল! বৌদিটির আত্মহত্যার দরুণ নির্জেকে দায়ী মনে হতে লাগল | সব কথা খুলে লিখলে কি ক্ষতিটা হত আমার? তারপরও যদি দাদা বিয়ে করতেন আর বৌদি আত্মহত্যা করতেন তাহলে এই বলে মনকে প্রবোধ দিতে পারতাম, আত্মহত্যার কপাল নিয়েই জন্মেছিলেন তিনি । কিন্তু তা ত' নয়, মোক্ষম ৷ চেষ্টা করেছিলেন বৌদি নিজেকে বাঁচাবার | কুমারী মেয়ের পক্ষে সব থেকে নিদারুণ কলঙ্কটা নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন নিজেকে | আমিই বাদ সাধলাম। সব কথা খোলসা করে লিখলাম না দাদাকে। আচ্ছা, এই যে কাহিনীটি শোনালাম. এ থেকে আমি নামক আমিটিকে বাদ দেব কি করে ? দাদ| যদি আমায় পাত্রী দেখবার কথা না লিখতেন তা হলেই ত' হাঙ্গাম| চুকে যেত | আমাকে জড়িয়ে--এ কাহিনী আমায় শোনাতে হত না। কেন--কলকাতায় ay ছিল, ছোট পিসী ছিলেন, হরিশ steal ছিলেন, এদের কাউকে Ww পাত্রী দেখবার কথা লিখতে পারতেন দাদা । খামকা আমাকেই বা লিখতে গেলেন কেন 1 আর যখন বারণ করে পাঠালাম এ মেয়েটিকে বিয়ে করতে, তখন বিয়েই বা করতে গেলেন কেন ? সবচেয়ে কি ভাল হত না, যদি দাদা আমার কথা শুনে এঁ গালে তিলওয়ালা মেয়েটিকে বিয়ে না করতেন ? যদি শুনবেনই না আমার কথ! তবে আমার ওপর পছন্দ-অপছন্দর ভারই বা দিলেন কেন? যাকগে, যা হবার ছিল, হয়ে গেল । ও রকম একট! উড়ো ' আপদে জড়িয়ে পড়৷ কপালে লেখা ছিল বলেই ঘটল । কিন্ত এ থেকে একটা কথা 9