বিশ্ব ভারতী পত্রিকা | Visvabharati Patrika

বিশ্বভারতী পত্রিকা নবপয্যয় > | শ্রাবণ-আখ্বিন ১৪০১ চিঠিপত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাণু অধিকারী (মুখোপাধ্যায়)কে লিখিত ১৪ Gea, ১৯১৮ শান্তিনিকেতন রাণু | মনে করেছিলুম কাল তোমার চিঠি পাব। কালই পাওয়া উচিত ছিল। cols, আপিসে কালই নিশ্চয় এসেছিল, কিন্তু পোষ্ট্মাষ্টারের অসুখ করেচে বলে পশ্চিমের ডাক কাল আমাদের দেয় নি আজ সকালে দিয়ে গেছে। তোমাদের পথের খবর জানবার জন্যে আমার মন উদ্বিগ্ন হয়ে ছিল। আজ সকালে তোমার চিঠি > পেয়েই বুঝেছিলুম কার চিঠি। তখন কি করছিলুম সেই কথাটা আগে বলি। কাল রাস্তির যখন আড়াইটা তখন বৃষ্টি আরম্ভ হচ্ছে-- তার পরে বরাবর বৃষ্টি চলচ্ছে-- চারদিকের মাঠে জল বয়ে যাচ্চে, আকাশ ভালে WMA, মেঘের কোথাও বিচ্ছেদ নেই। এমন ঘোর বাদলায় ক্লাস হওয়া অসম্ভব, তাই এই সুযোগে IGF সাহেব: তার খাতা নিয়ে সকালেই আমার কাছে হাজির, তাকে “ঘরেবাইরে” * Sera করে যাচ্চচি সে লিখে নিচ্চে। আমি যে-কোণে বসে লিখে থাকি সে-কোণ আজ অন্ধকার, মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাট GPA, তাই আমার শোবার ঘরের পূরববদিকের জান্লার কাছে বসে বকে যাচ্চি আর Gow একটা তাকিয়ার উপরে চড়ে বসে PRC এমন সময় ডাকের চিঠি এল। কাল তোমার চিঠি না পেয়ে ভাবছিলুম আজ সকালে চি? পাব না, দুপুরের ডাকে পাব--তাই চিঠিগুলো না দেখেই পাশে ফেলে রেখে কাজ SATS লাগ্লুম--কিন্তু একটু বাদেই মনটা উতলা হল--একবার লেখাটার উপর চোখ বুলিয়ে দেখ্‌তেই .তোমার হাতের অক্ষর চোখে COP TS WCE বল্লুম, “একটু রোস, আমার চিঠি পড়ে নিই।”” তোমার চিঠিখানি পড়লুম। রেলের পথে তোমার মন যে খারাপ হয়েছিল সেই পড়ে আমার বড় কষ্ট হল। তুমি মনে কোরো না আমি বুঝতে পারিনি। সেই বুধবারের fra’ যখন তোমার গাঁড়ি চল্ছিল, আর আমি যখন চুপটি করে আমার কোণে, এবং FATA আমার ছাদে বসে ছিলুম তখন তোমার কষ্ট আমাকে বাজ্ছিল। আমি মনে মনে কেবল RAMI করছিলুম, যে বাদলের উপরে সূর্যোর আলো পড়ে যেমন Suey তৈরি হয়, coals করে তোমার 'অশ্রুভরা কোমল হৃদয়ের উপরে স্বর্গের পবিত্র আলো পড়.ক, সৌন্দর্য্যের ছটায় তোমার জীবনের এক firs থেকে অন্য দিগন্ত পূর্ণ হয়ে উঠুক। যাঁর আশীর্ব্বাদে আমাদের জীবনের সমস্ত সুখ ফুলের মত বিকশিত হয় এবং সমস্ত দুঃখ ফলের মত কল্যাণপূর্ণ হয়ে ওঠে, তাঁরই wate তোমার জীবনের সকল 'সুখদুঃখকেই সৌন্দর্যে এবং মঙ্গলে সার্থক করে PAG আমি আমার জীবনকে তাঁরই কাছে উৎসর্গ করেছি Re উৎসর্গকে তিনি যে গ্রহণ করেচেন তাই মাঝে মাঝে তিনি আমাকে নানা ইসারায় জানিয়ে দেন-- হঠাৎ তুমি তারই দূত হয়ে আমার কাছে এসেচ, তোমার উপরে আমার গভীর মেহ তার সেই ইসারা। এই