সুবোধ ঘোষের শ্রেষ্ঠ গল্প [সংস্করণ-১] | Subodh Ghosher Shreshtha Galpo [Ed. 1]

একটিমাত্র মানুষের প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছিল ধনিয়া। আলী বছরের অথর্ব atl ডোম, জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় যার কেটেছে জেলের তাত CX | ঝড়ে-গাছ-চাপা-পডে-কোমর-ভাঁঙড়া এক মুযুু/ মানবপ্রাণ। তার মাতৃত্বের শেষ স্বধ] আসন্নমরণ এ স্থবিরকে পান করিয়ে ক্ষুব্ধ অভিমানে ধনিয়। কেঁদে বলছে-_ -_ই| চাচা । আমার জাত নেই, আমি নাকি ata ! -_-ছি ছি, এ কি বলছিস? ই] চাচা, আমাকে নাম লেখাতে হুয়েছে। কাল থেকে বাজারে থাকতে Ra | — ita না, তুই তো AAA | —al চাচা, আমার স্বামী নেই | --গাইগরুরও স্বামী নেই, তারা কি লছমী নয়? -__তা বললে চলে না, আমি ত গাই নই। আমি atzA সমা বদ্ধ মানুষের হাতে মানুষেব এই Hea চেয়েও অধিক অসম্মান Vd) শোচনীয় ততটাই অমান্রষিক | “তিন অধ্যায় গল্পে জীবিকাম্বেষী মধ্যবিত্তের বাধ্যতামূলক কভ্রমাবনতি এবং সত্যকার গোত্রামন্বৰ গ্রহণেব কাহিনীর মধ্য দিয়ে সমাজের ভাঙন-গড়নের ইতিহাস রচিত হয়েছে। বামুনের ছেলে অহিভূষণের বিদ্যা! ফোর্থ ক্লাস পর্যন্ত । মুযুনিসিপ্যালটিতে আ্যাসিস্টেন্ট কন্‌্ঙ্গারভেন্সী স্থপারভাইদারের কাজ করে। মাইনে নগণ্য মাত্র। তাতেও অহিতূযষণের আপত্তি ছিল না, মধ্যবিত্তের ইজ্জৎটুকু আশ্রিত ছিল চাকরীর গালভরা নামের খোলসে। কিন্তু সে-নামও পাল্টে গিয়ে হল সর্দার স্ক্যাভেঞ্জার। শহরের ময়লা-গাড়ির তদারকির কাজের উপযুক্ত নাম। অহিভুষণ প্রথমে আপত্তি করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবিকার দায়ে ভাগ্যকে স্বীকার ক'রেই নিয়েছে। দেনা Cra Sta বেকার অনস্থায় জীবনের বারো-মানা ভাগ পণ্ড ক'রে শেষকালে পুলিন বীড়ুজ্জে খুললেন জুতোর cas | সাঁত পুরুষের কৌলিক চেতনাকে একটা উপার্জনের দায়ে বিকিয়ে দিতে প্রথমে ব্রাহ্মণ্যগর্ব বাধা দিয়েছে। দোকানে কর্মরত মুচিদ্বের পাশে একটা রঙিন পর্দার আড়াল we ক'রে নিজের শেণীমর্যাদাটুকু বাচিয়ে রাখবার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যেদিন পুলিন বীড়ুর্জে সমাজে “পুলিন চামার' বলে অভিহিত হলেন সেদিন থেকে Sta মর্যাদার মিথ্যা মোহটুকু খসে গড়ল। এই পুলিন বীড়ুজ্জেরই মেয়ে বন্দনা। হাসপাতালে নার্সদের সহকারিণীর কাজ নিল। aD ভাষায় সে কাঞ্জের নাম জমাদারনী। অহিত্যষণ আর পুর্লেনবাবুরা ভজ্জ্সমাজে সম্পর্ক রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু উন্নাসিক মধ্যবিত্ত সমাজের মর্যাদাবোধ ১২