For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)কবি মধুহুদন ও তার পত্রাবলী ৫ ॥ দই ॥ আমাদের দেশের মুখ্য সাহিত্যিকদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলীর
সন্কলনে অনেকখানি সাফল্য অজিত হয়েছে। রবীন্জ্রজীবনের অনেকখানিই
একেবারে আমাদের সমকালীন । তিনি যাদের কাছে চিঠিপত্র লিখেছেন
তাদের অনেকেই এখন পর্যন্ত জীবিত আছেন। fee রবীন্দ্রনাথের মত
প্রতিষ্ঠা পান নি এমন লেখকদের পত্রাবলী যথেষ্ট সনঙ্কলিত হয়েছে কি 1
গবেষক-সমালোচকদের ইচ্ছা! থাকলেও তা কদাচিৎ চরিতার্থ হবার স্থযোগ
পায়। শরংৎচন্দ্রের মত জনপ্রিয় গুপন্যাসিকেরও স্বল্প সংখ্যক পত্রই মাত্র স্বীয়
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংগৃহীত হয়েছে। প্রমথ
চৌধুরীর মত বিশিষ্ট লেখক, নজরুলের মত সর্বজনপ্রিয়ঃ এবং নত্যেন্দ্নাথের
ন্যায় প্রতিষ্ঠাবান কবির পত্রসঙ্কলন চোখে পড়ে না। অথচ এরা একান্ত
ভাবেই একালের WRI) এর মধ্যে শুধুমাত্র গবেষকদের পরিশ্রমবিমুখতাই
yee হয় না, তথ্য বিষয়ে আমাদের জাতিগত নিস্পৃহতাও প্রকাশ পায়।
একেবারে ASA যুগের লেখকদের ক্ষেত্রেই যখন এই GAR] তখন কিছু
পুরাতনকালের লেখকদের পত্রগুলি যে অবলুপ্ত হবে এটাই প্রায় অনিবাধ।
অমাদের মধ্যযুগের কবিদের কাব্যের নির্ভরযোগ্য পুঁথি নিয়েই যেখানে
satya অবধি নেই, সেখানে তাঁদের লেখা ব্যক্তিগত চিঠিপত্র আবিষ্কারের
কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেন না। উনবিংশ শতাব্দী থেকে বাংলা
সাহিত্যে নব্যযুগের WING! এখন থেকে মাত্র দেড়শত বৎসর পুর্বে
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আবির্ভাব হলেও আমাদের সঞ্চয়ের ভাঙারে
প্রধান প্রধান লেখকদেরও চিঠিপত্রের ae নগণ্য। বিদ্যাসাগর বা বন্ধিম-
চন্দ্রের মত লেখকের কটি পত্র পাওয়া গিয়েছে sul বিদ্যাসাগরের অনেক
খানি পরিচয় আছে তার কর্মে। কিন্তু সর্ব কর্মের অন্তরালে স্থিত তাঁর হৃদয়-
রাজ্যের পরিচয় বহনকারী তার ব্যক্তিগত পত্রগুচ্চ কোথায় ? বনঙ্কিমচন্ত্রের
উল্লেখযোগ্য কোন পত্রই প্রায় সংগৃহীত হয় নি। অথচ আপন we উপস্তাসা-
বলীতে এই মহান শিল্পী আপনাকে প্রকাশ করেন নি, দূরে রেখেছেন।
সম্ভবত “কমলাকান্তের দপ্তরে বন্কিমের গোপন হৃদয়লোক কথঞ্চিৎ সাহিত্য-
রূপ পেয়েছে, কিন্তু পত্রগুচ্ছ সংগ্রহ কর] গেলে তার নির্জন ব্যক্তিত্বের অনেক-
খানি পরিচয় মিলত ৷ এদিক দিয়ে মধুস্থদনের পত্রাবলীর ভাগ্য ভাল।
তার একটা বড় অংশ উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকেই মুদ্ত্রিতাকারে তার