ময়ূরপঙ্খী | Mayurpankhi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বেশি দুবার বেত মারবেন না বলেছিলাম না! তবু দুবার মারলেন, মহারাজ, এ কি সর্বনাশ ডেকে আনলেন! এইখানে আমাদের জন্য মৃত্যু অপেক্ষা করে আছে কি না কে জানে ।” কিন্তু ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। আর কোনো উপায় ছিল না | পক্ষিরাজের সব শক্তি শেষ হয়ে গেল। ওঁদের আর যাত্রা করবার উপায় রইল না। ঘোড়া থেকে নেমে তারা কোথাও কোনো মানুষের বাসের চিহ্ন দেখতে পেলেন না। তারা সে রাতের ফলমূল খেয়ে মাটিতে শুয়ে ঘুমোলেন। পরদিন এ দেশের রাজা শিকার করতে এলেন এ বনে। একটা হরিণের গায়ে তীর মেরে, তিনি তার পিছন-পিছন ঘোড়া ছুটিয়ে চলেছিলেন। হঠাৎ চেয়ে দেখলেন এক রাজা আর তার সঙ্গে অপরূপ রূপসী এক কন্যা। কন্যার রূপ দেখে তাঁকে প্রাসাদে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হল সেই রাজার। অমনি জোর শিস্‌ দিলেন রাজা, সঙ্গে-লঙ্গে তার চারদিক ঘিরে দাঁড়াল অনুচররা। বন্দী করা হল কন্যাকে, রাজাকে মেরে ফেলা না হলেও, তার দুই চোখ গেলে দেওয়া হল। তারপর তাঁকে এ বনে একা ফেলে, ওঁরা চলে গেলেন। একা হলেও ঠিক একা নয় কারণ হীরেমন তার সঙ্গে ছিল। রূপসী কন্যার সঙ্গে এ দেশের রাজা পক্ষিরাজ ঘোড়াটিকেও তাঁর প্রাসাদে নিয়ে গেলেন। কন্যা রাজাকে বললেন, “আমি একটা ব্রত নিয়েছি, আপনি ছয় মাস আসবেন না আমার কাছে।” কন্যা ছয় মাস সময় নিলেন, কারণ পক্ষিরাজের শক্তি আসতে ছয় মাস সময় লাগে। কন্যা রোজ পুজো করবেন, তাই রাজা তার জন্য আলাদা বাড়ি ঠিক করে দিলেন। কন্যা সেখানে নিয়ে গেলেন CSCS | রোজ ঘোড়াকে ভালো দানা, তাজা ঘাস খাওয়ানো হত। কিন্তু হীরেমনের দেখা না পেলে তো এত করেও কোনো লাভ হবে না। এখন পাখিটার সঙ্গে কি করে দেখা হয়? হঠাৎ একটা বুদ্ধি এল। কন্যা তার দাসীদের বললেন, “আমার ব্রতের নিয়ম, পাখিদের খাওয়াতে হবে। আমার বাড়ির ছাদে রোজ ধান, চাল, ডাল, খৈ ছড়িয়ে রাখবি।” দাসীরা তাই করল। রোজ হাজার-হাজার পাখি এসে এ শস্য খেতে লাগল। হীরেমন যদি ১৬



Leave a Comment