For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)॥ দশ ॥ হাফিজ” কবির প্রকৃত নাম নয়। তাঁর নাম খাজা শামসুদ্দীন gee 'হাফিজ' তায় নিজের নেওয়া
ছদ্ম নাম--চ০0- 48061 হাফিজ” শবঝের ছুটি অর্থ। একটি হ'ল--'কোরান সম্বন্ধে যিনি বিশেষ afew’,
আর দ্বিতীয় অর্থ হ'ল-_'রক্ষণাবেক্ষণকারী”। ei ties কবি, “জামী” হাফিজ সম্বন্ধে বলেছেন, কোন্ সে
শ্রেষ্ঠ সুফী গীরের শিল্য ছিলেন হাফিজ আমি তা জানি না, হুতরাং জোর ক'রে বলতে পারবে৷ না তিনি
কোন্ ধর্মসম্প্রদায়ের Sage farm, কিন্তু, তার কবিতাগুলি পড়ে নিংসদ্দেহে বলা যায় যে তিনি ছিলেন
waters মধ্যে শলীর্ষস্থানীয়। ইনি কবিকে এই ব'লে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন-- “চির অপ্রকাশের বাণী-মৃতি
তুমি! তুমি এই নিখিল-রহস্তের রসাভিষিক্ত রসনা!” হাফিজের এই আশ্চর্য কবিষ্শক্তি লাভ সম্বন্ধে চিততাবর্ষক একটি গল্প প্রচলিত আছে। শিরাজ থেকে মাইল
চারেক দূরে 'পীর-ই-পাবাজ' বা “সবুজ পীর' ব'লে একটি জায়গা আছে। এ স্থানটি “বাবাকুহী” নামে একটি পাহাড়ের
উপর অবস্থিত। এ স্থানের একটা অলৌকিক গুণ এই যে এখানে এসে যে-যুবক পর পর চল্লিশ বাত্রি সমানে বিনিদ্র
যাপন করতে পারবে সে অব্যর্থ একজন শ্রেষ্ঠ কবি হ'য়ে Baz) কবিষশ:প্রার্থী হাফিজ এই ক্ঠোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
VAI জন্য ত্রতী Ve | তরুণ কবি কিন্তু এই সময় একটি সুন্দরী যুবতীর রূপে Sse হ'য়ে তার হৃদয় জয় করবারও
চেষ্টা করছিলেন। তরুণীর নাম fen 'শাখীনাবাং'; বাংলায় অঙ্গবাদ করলে হবে “মধুবল্লরী”! হাফিজ এই দোট।নার
মধ্যে বীর্যবানের মতো যুদ্ধ করেছিলেন এবং উভয ক্ষেত্রেই জয়ী হয়েছিলেন। তিনি প্রতিদিন রাত্রি প্রভাতের সঙ্গে
সঙ্গে চ'লে আসতেন তার প্রণষযিনীর কুটীর সম্মুখে । মধ্যাহককাল পর্যন্ত সেই কুটাব-সম্মুখে পদচাবণ৷ করতেন। দৃষ্টি
নিবদ্ধ থাকতো বাতায়নের পথে। একবার যদি ক্ষণিকের জন্যও বাঞ্ছিতা comma সুন্দর মুখখানি চৌখে পড়ে।
তারপর Biles কোনও সরাইয়ে এসে মধ্যাহু ভোজন শেষ ক'রে বিশ্রাম করতেন এবং ating আবির্ভাবেব সঙ্গে সঙ্গে
বাবাকুহী পর্বতের উপর সবুজ পীরের পীঠস্থানে গিয়ে fate want যাপন করতেন। যেদিন তার এই দুরূহ ত্রতের
ঠিক vite রাত্রি পূর্ণ হবে সেদিন প্রভাতে অকন্ম!ৎ তাঁর এক অপ্রত্যাণিত সৌভাগ্যের উদয হ'ল। তাঁর সেই
একান্ত বাঞ্ছিতা প্রিয়তমা সেদিন বাতায়নে এ'ম হাসি মুখে হাফিজের দিকে চেয়ে দেখলেন । আআখিতে তার বিছ্যং
ক্টাক্ষ) হাফিজকে তিনি ভিতরে আমবার op ইঙ্গিত করলেন। হাফিজ তার sic যাবামাত্র সে কি সাদর
অভ্যর্থনা! একেবারে উল্লসিত হৃদয়ের আনন্দধিহবল আত্ম-নিবেদন। বাষ্ছিত মিলনের তীব্র সখাতিশয্যে সারাদিন
যে কোথা দিয়ে কেটে গেল ক্ষণমুহূর্তের মতো কিছুই তা বোবা গেল না। RE BE কখন অস্ত গেল, কোন্
AAMT মায়া-রঙিন পর্দার অস্তরালে, দু'জনের কেউ তা জানতেই পারলে না। রাত্রি নেমে এল। ক্বষ্ণপক্ষের
গভীর ঘন কালো রাত। রূপসী তরুণী শাখীনাবাং হয়তো প্রেমবিহ্বল হাফিজকে সারানিশিই তার গোলাপ ফুলের
মতো কোমল বুকের মধ্যে, তার মৃণাল বাহু-বল্লরীর পেলব বন্ধনে বেঁধে রেখে দিত, কিন্তু হঠাৎ হাফিজের স্মরণ হল
তার ব্রতের আজ শেষ রাত্রি! চল্লিশ রজনী আজ পূর্ণ হবে। প্রণয়িনীর প্রগাঢ় আশ্লেষ থেকে নিজেকে মুক্ত করে
নিয়ে হাফিঙ ছুটলেন বাবাকুহী পর্বতের দিকে সেই ATs পীরের আস্তানায়। হাফিজ সেখানে পৌঁছে সারারাত্রি জেগে
ব'সে রইলেন। ভোরের বাতাসের ছোয়া লেগে পুবের আকাশ আরক্ত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিলেন হাফিজের
সামনে এসে বৃদ্ধ সবুজ পীর। ইনিই সেই খিঙ্গীর, হাফিজ তার কবিতায় বহুবার এ'র নাম উল্লেখ করেছেন। খিষ্জীর
তাকে সাদর অভিবাদন ও শুভ ইচ্ছা জানিয়ে, তার হাতে দিলেন তুলে কাব্যলোকের এক পাত্র অম্তবারি। হাফিজের প্রথম কবিতা সম্বদ্ধেও একটি কাহিনী প্রচলিত ,আছে। একদিন প্রভাতে হাফিজের খুল্লতাত
সুফীধর্মের উপর একটি কবিতা রচন৷ করছিলেন। হাফিজ এসে সেখানে দীড়ালেন। খুড়ো তখন সবে প্রথম লাইনটি
লিখে দ্বিতীয়টির কথা ভাবছিলেন। হাফিজ কিন্তু তার মধ্যেই দ্বিতীয় লাইনাট মনে মনে তৈরী ক'রে ফেলেছিলেন।
বড় ইচ্ছে হচ্ছিল সেটি লিখে দেবার, কিন্তু খুড়োর ভয়ে চুপ করেছিলেন। ইতিমধ্যে কি একটা জরুরী কাজে খুড়োকে