বিবি থেকে বেগম | Bibi Theke Begam

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৮ US বিবি থেকে বেগম ধর্মশাসিত 1 সে উচ্চকুলের নিরক্ষর রূপসীকে প্রত্যাখ্যান করে। সে এবং তার গোত্রের সকলে বিশ্বাস করে ওই 'অশিক্ষিতা' স্ত্রীরা জীবনকে গরলে ভরে দেয়। যেমন দিয়েছে তার বিমাতা, যে উচ্চকুলের নারী | অশিক্ষিতা রূপসী বিমাতা তার পিতার জীবনে প্রবল আধিপত্য বিস্তার করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে; রূপসী বিমাতা TS দাসী না হয়ে, হয়ে উঠেছে চালিকা সঙ্গিনী । সংসার চালনা করেছে নিজের ইচ্ছেমতো। জীবন কাটিয়েছে নিজের ইচ্ছেমতো | এ-ব্যাপারগুলো নব আদমের পছন্দ হয় নি। তার মনে হয় বিমাতা 'গৃহস্থালীর sal হবার পর তাদের সংসারে অশান্তি আসে এ- কারণে যে, বিমাতা সকল কাজ নিজের হাতে সম্পন্ন করে না। স্বামীকেও নিজের হাতে সেবা করে না। নব্য আদমের চোখে ওই ব্যাপারগুলো এভাবে ধরা পড়ে : পিতার সেবা-শুশ্রষার জন্য ডাক ahem কেবল চাকরানীরা তাহার wifes হইত; বিমাতা কেবল সময় সময় অভাব-অভিযোগের কথা লইয়া পিতার নিকট উপস্থিত হইতেন। তাহার গর্ভজাত কন্যাও নিজের সুখ-সুবিধা ছাড়া অন্য কোনদিকে নজর করিবার বড় অবসর পাইতেন না। মূল্যবান বস্ত্রালঙ্কার ও সুগন্ধি তৈলাদির জন্য তিনি পিতাকে অহরহ ত্যক্তবিরক্ত করিতেন । তাহার গতি-বিধিতে, তাহার প্রত্যেক কথায়, তাহার প্রতি নিঃশ্বাসে কেবল আভিজাত্যের অভিমানই প্রকাশ পাইত |... পিতা ১৪ দিনের জ্বরে প্রাণত্যাগ করেন... এই সময় বিমাতা তাহার পরিচর্যা করেন নাই তাহা নহে; কিন্তু তাহার পরিচর্যায় আস্তরিক অনুরাগ ছিল না। মৃত্যুর পূর্বে পিতার যখন শ্বাসকষ্ট উপস্থিত হইল...বিমাতাও পতিশোকে শোকাকুলিতা হইলেন বটে, কিন্তু তদসঙ্গে লোহার সিন্দুকের চাবিটিও হস্তগত করিতে gerry না। বিমাতার ব্যবহারে নুরুল এসলামের করুণ হৃদয়ে দারুণ আঘাত লাগিল | ‘THY এসলামের করুণ হৃদয়ে দারুণ আঘাত' লাগার কারণ তার নিরক্ষরা বিমাতা মর্ষকামিতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে নি। সে নিজের চাহিদা মেটাতে তৎপর, স্বামীশোকে পাথর হয়ে সবকিছু নূরুল এসলামের হাতে তুলে দিয়ে নিজে শুধু কষ্ট- শোকটুকু ভোগ করে নি, নিজের সম্বল রক্ষার ব্যাপারে সে সজ্ঞান ছিলো | এই সতর্কতা ও সচেতনতা পুরুষতন্ত্রের অপ্রিয়ভাজন করে তুলেছে ওই নারীকে | নব্য আদম আবার প্রবল ধার্মিক পুরুষ, বিবাহ তার কাছে এক ধরনের ধর্মাচরণ মাত্র । তার গভীর বিশ্বাস “পারিবারিক ধর্মভাব ও প্রীতি পবিত্রতা অশিক্ষিত স্ত্রীলোক সংসর্গে পাইবার আশা, মরুভূমিতে নন্দনকাননের সুখসৌন্দর্য ভোগের আশার ন্যায় দুরাশামাত্র' । কেননা নিরক্ষর স্ত্রীরা তাদের আত্মপরায়ণতা ও আত্মসচেতনতা দিয়ে পুরুষকে স্বস্তিতে আধিপত্য চালাতে দেয় না। এ কারণে 'অশিক্ষিতা রমণীর প্রতি



Leave a Comment