For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)কুমুদরঞ্জনের কাব্যবিচার t করছি। আধুনিক চিস্তা-চেতনার পরিপ্রেক্ষিত যে কুমুদরঞ্জনের কবিতার
sitio ও বিচারেও প্রয়োজন, এমন কি অনিবার্য *তাঁ আমর!
পূর্বেই দেখেছি। আর “অবিমিশ্র বাঙালী মন” নামক বস্তুটি অষ্টাদশ
শতকের পরবর্তীকালে কোন শিক্ষিত বাঙালীর অধিকারে ছিল কিনা
ইতিহাসই তার বিচারক | উনিশের শতকে বাংলাদেশে এক নতুন জীবনের উদ্ভব ইযেছিল।
এ-জীবনে মধ্যযুগের গ্লানি হয়ত অনেকখানি জড়িযেছিল, কিন্তু কর্মে ও
foarte নতুনের দ্বারোন্মোচনের'ও অভাব ঘটে নি। অর্থনীতির সম্পূর্ণ
যন্ত্র-রূপাযন হয নি, By নি কৃষি-প্রাধান্ত থেকে শিল্প-প্রাধান্যে রূপাস্তর,
কিন্তু বিচিত্র সমাজ্জ-মংস্কারের কর্মষজ্ঞে বাঙালী-চিত্তের প্রসার দিগস্ধ
স্পর্শ করেছে। ইংরেজী শিক্ষার বাতায়ন-পথে শিক্ষিত সহ্রবাসী
বাঙালীর মন বিশ্ব-চেতনার সামীপ্য অহভব করেছে। জগৎ ও জীবনের
এক অভিনব রূপ, মাহুষ-মহিমার অচিত্ত্যপূর্ব ছবি, প্রত্যাশায় উজ্জ্বল
নতুন ভবিষ্যৎ। পরিপ্রেক্ষিত হল বিপুল-বিস্তৃত, সংকীর্ণ সীমাবদ্ধতা! চুর্ণ
হল, জীবন-রাগিণী একতারার সরল মেঠো WA ছেড়ে সপ্ডতার বীণার
বিচিত্র জটিল স্বরে বাজতে লাগল । সমস্ত এ যুগেও ছিল, প্রশ্ন ছিল,
বেদনারও অভাব ছিল না। কিন্তু সব মিলিয়ে এ যুগ স্মস্কতার যুগ,
বিশিষ্ট মানবাদর্শে বিশ্বাসের যুগ, ভবিষ্যৎ আশ্বাসের যুগ । এ শতকের
সৌন্দর্যে অখণ্ডের বোধ- তাতে সংশয়-অবক্ষয়ের চিহ্ন বড় নেই,
ধর্মবোধ মানব-সম্পর্কে এসে মধ্যযুগের তুলনায় নতুন TH পেলেও
অস্বীরূৃত হয় নি। কিন্তু উনবিংশ শতকের শেষ দিক থেকেই এই সুস্ব ও পরিপূর্ণ জীবদ-
বোধে নানা সংশয় ও ভাঙমের চিহ্ন প্রকট হয়ে ওঠে | যে “বড় ইংরেজের”
শিক্ষা, রুচি, বিজ্ঞান-বিদ্ধা ও কল্যাণ-বুদ্ধিতে আমাদের অচল শ্রদ্ধা ছিল,