শোনপাংশু | Shonpanshu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দুই প্রেসিডেণ্ট বক্তৃতা করলেন না ব'লে অনুষ্ঠানে ত্রুটি হ'লো না। প্রচুর চা, প্রচুর খাদ্য; স্কুলের স্টুয়ার্ড সার্থকনামা বিপুল সহায় তার gaa সহকারীকে নিয়ে ঘুরে-ঘুরে দেখাশোনা করলেন সকলের-_আমাদের সকলের প্রিয় বশিষ্ঠমশাইকে পর-পর চারটে ডবল সাইজের TST না-খাইয়ে ছাড়লেন না, চায়ের বদলে ঠাণ্ডা ঘোলের সরবৎ এনে দিলেন তাকে । কেউ-কেউ চা সরবৎ Boole খেলো, পঞ্চমীর চাঁদের মতো কেকের টুকরোর প্রতি সুবিচার করার পর গলা ভেজাবার জন্য রসগোল্লা । কতৃপক্ষ যে দরাজ হাতে আমাদের খুশি করতে চাচ্ছেন, এ-বিষয়ে তখনকার মতো কোনো সন্দেহ থাকলো না কারো মনে। কথাবার্তার সতর্ক কিন্তু সজীব গুঞ্জন সারাক্ষণ শোনা গেলো, ধুমপায়ীরা হেলান দিয়ে সিগারেটও ধরালেন, কেননা এ-সব প্রীতি-অন্নষ্ঠানে শিক্ষকদের ধূমপান বিষয়ে কোনো বারণ নেই বিদ্যাপীঠে খাওয়া যখন প্রায় শেষ, বড়ো টেবিলে চামচে-পেয়ালার টুংটাং আওয়াজ হ'লো, আমরা চকিত হয়ে যথাস্থানে দৃষ্টি ও মনোযোগ নিবদ্ধ করলাম। প্রথমে বলতে উঠলেন মজুমদার মশাই, আমাদের সেক্রেটারি । রোগা, লম্বা, গালভাঙা, গভীর মানুষ, “আধ্যাত্মিক' ধরনের চেহারা, কম হাসেন ব'লে তার আকস্মিক হাসিকে ঈশ্বরের বিশেষ কোনো দয়ার মতো মনে হয়। বারো মাস বিলিতি কাপড়েই দেখা যায় তাকে, আজ হঠাৎ কৌচানো ধুতি আর গিলে-করা পাঞ্জাবি পরেছেন, তাতে তার দূরত্ব আর NSS ical বরং বেড়েই গিয়েছিলো তিনি কি বলেন তা শোনার জন্য উৎকর্ণ হলাম আমরা | পাছে পরে ভুলে যাই, তাই এখানেই ব'লে রাখি যে বিদ্যাগীঠের সেক্রেটারির পদটি ঠিক অন্যান্য স্কুলের মতো নয়। সাধারণত সেক্রেটারি ১৮



Leave a Comment