পুন্ড্র বর্দ্ধন ও গৌড়-বরেন্দ্রী [সংস্করণ-১] | Pundrabardhan O Gour-barendri [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ৰা AGTH ও গৌড়-বরেন্দ্রী পুরীতে রামপাল এবং হরি দীর্ঘকাল বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ একত্রিত ভাবে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। রাধাগোবিন্দ বসাক শ্লোকটির ভাষাস্তর করেছেন ঠিক এইভাবে — “Here (at Ramavati) the two kings (Rampala and Hari), who were rich in cavalry and who had large army, met together and shone for a long time in each other's close embrance in the palace, full of gold and built with all sorts of works of art and which attained perfection." রাধাগোবিন্দ বসাক শ্লোকটির টাকায় এমনভাবেই উল্লেখ করেছেন যে সুগ্রীবের প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া যেমন রামের পক্ষে সীতা উদ্ধার সম্ভব ছিল না ঠিক তেমনই হরির প্রত্যক্ষ সাহায্য ছাড়া রামপালের পক্ষে তাঁর পিতৃভূমি উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। রাবণ বধের পর বন্ধুত্বের নিরদর্শনস্বরূপ যেমন রাম এবং Bal লঙ্কাতে একত্রিত হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই রামপাল ও হরি রামাবতীতে একে অপরের সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন — “It will be found here in that the mandira (mansion) where the two chiefs Rama and Sugriva met was in Lanka and that where also met king Ramapala and the ruler Hari in Ramavati." বিস্তারিতভাবে না পেয়ে শুধুমাত্র সংক্ষেপে আমরা বলতে পারি যে রাম ও হরি বা হরিও রাম একত্রে যে স্থানে জীবনের বাকী সময়টুকু সখ্যতার নিদর্শনস্বরূপ সুখে অতিবাহিত করেছিলেন সেই স্থানের নাম হয়েছিল হরিরামপুর”, বর্তমান সময়ের বাহিরহট্ট বা একডালা-কসবাকে মধ্যস্থ করে যে বিপুল apogee নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার এক সুন্দর চিত্র আমরা এস.কে. সরস্বতীর পরিদর্শণ রিপোর্টে পাই। রামপাল যে নির্দিষ্টভাবে এই স্থানকেই কেন্দ্র করে AMT নগরীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার প্রমাণ আমরা পাই ৪২তম শ্লোকটিতে-_ "That king (Ramapala) constructed gret works of Public utility in the shape of large lakes with tall Palm trees and line of hillocks on their border, so as to make them look like veritable seas." এই শ্লোকটি থেকে আমরা জানতে পারছি যে রামপাল তাঁর রামাবতী নগরীর নাগরিক সুখ সাচ্ছন্দের জন্য বিশালাকার কয়েকটি জলাশয় তৈরী করেছিলেন। হরিরামপুরের ঠিক এই জায়গায় কয়েকটি বিশালাকায় Whe বা জলাশয়ের উপস্থিতি এখনো বর্তমান রয়েছে যার মধ্যে গড়দীঘি, মালিয়ান দীঘি, কাকাদীঘি, খরিকা দীঘি, আলতাদীঘিকে আমরা গভীর বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করছি। এখনো পুরোপুরি হারিয়ে যায় নি এই সব দীঘির উঁচু পার দীর্ঘকায় তালগাছের উপস্থিতি। এই তো রামাবতী, এই বাইরে আমরা আর কোথায় তার সন্ধান করব! রামাবতীর পর 'বিজয়পুর”। গৌড়রাজমালার উপকভ্রমণিকাতে অক্ষয়কুমার মৈত্রের মন্তব্য করেছিলেন “ধোয়ী কবির “পবনদুত' আবিষ্কৃত ও মুদ্রিত হইবার পর জানিতে পারা গিয়াছিল, — “বিজয়পুর' নামক রাজধানীতে লক্ষ্মণ সেন দেবের অভিযষেকক্রিয়া



Leave a Comment