গীতার শিক্ষা ও ভারতের আধ্যাত্মিকতা | Geetar Shiksha O Bharater Adhyatmikata

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 বৈদাস্তিক বর্ণাশ্রম ধর্ম SH বা ঈশ্বর এবং আত্মা AAT জ্ঞানের আলোচনা! এবং কীভাবে মানুষ স্থায়ী স্ুখশাস্তি লাভ করিতে পারে, সেই TWH SHB বেদের জ্ঞানকাণ্ডে Sq) হইয়াছে। বেদের এই জ্ঞান- sacs উপনিষদ বা বেদাস্ত বলা হয়। বেদের ( অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ) অন্ত ( অর্থাৎ শেষ সীম! ) বেদাস্তে দেখিতে পাওয়া যায়। বেদাস্তে প্রচারিত ধর্ম ও মুক্তি সম্বন্ধীয় জ্ঞানকে ছাড়াইয়া মানুষের আধ্যাত্মিক জ্ঞান আর অগ্রসর হইতে পারে নাই | (গ) গীতা বেদের, প্রধানতঃ বেদের জ্ঞানকাণ্ডের অনুগামী | বেদের কর্মকাণ্ডে যে Way যজ্ঞের কথা আছে, গীতায় তাহাকে পরিত্যাগ করিতে বলা হয় নাই। কারণ সাধারণ লোকের পক্ষে তাহার উপকারিতা আছে। দেবতার উদ্দেশ্যে দ্রব্যত্যাগই যজ্ঞ। VOM যজ্ঞ মানুষের মনকে ত্যাগের পথে পরিচালিত করিয়৷ তাহাকে প্রথমে দেবতাভিমুখী এবং পরে ঈশ্বরাভিমুখী করে | গীতায় জ্ঞানযজ্ঞকে ড্রেব্যময় যজ্ঞ অপেক্ষা উচ্চতর স্থান crew হইয়াছে | “শ্রেয়ান্‌ ড্রব্যময়াৎ যজ্ঞাৎ জ্ঞানযজ্ঞঃ পরস্তপ”-_গীত| ৪।৩৩ --হে AYA, VATA যজ্ঞ অপেক্ষা জ্ঞানযজ্ঞ শেষ্ঠ (৪1৩৩ )! মনকে অস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল জাগতিক wae হইতে টানিয়৷ ASM এক সর্বব্যাপী ঈশ্বরে পুনঃ পুনঃ সমাহিত ( অর্থাৎ স্থাপিত ও যুক্ত) করিবার চেষ্টাকেই জ্ঞানযজ্ঞ বলা হয়। এই জ্ঞানযজ্ছের আবশ্যকতার কথা বেদের জ্ঞানকাণ্ডে ও গীতায় পুনঃ পুন: বলা হইয়াছে। স্থৃতরাং গীতা বেদের Byars এবং গীতাপাঠ করিলে বেদপাঠের কাজ হয় । (ঘ) গীতার আদর্শে জীবনগঠনেই গীতাপাঠের সার্থকতা | কিছুক্ষণ ভক্তির সহিত গীতাপাঠ করিয়৷ সীতাকে সরাইয়া ai তুলিয়া রাখিলে এবং কামনা, ক্রোধ, লোভ প্রভৃতির বশবতা হইয়৷ নিজের ইচ্ছামত জীবনযাপন করিতে থাকিলে, Hera উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় না। শুদ্ধ ও'সংযত জীবনযাপন করিয়া রীতার আদশে



Leave a Comment