ভারতবর্ষ [খণ্ড-২] [বর্ষ-২] | Bharatbarsha [Yr. 31] [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পৌষ--_১৩৫* ] বাঙ্গালার শিল্প কৃতিত্ব সম্বন্ধে আমরা পাঠকের দৃষ্টি এই পুপ্তকের ২৩৫-৪৮, ৪*৬-৫২ পৃষ্ঠার প্রতি আকৃষ্ট করিতেছি, নানা কারণে আমরা অনুমান করিয়াছি, বাঙ্গলা দেশই মগধের প্রধান চিত্রশালা ছিল ।"-_ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন “বৃহৎ বঙ্গ” ( ১ম ভাগ, ভূমিকা ), পৃষ্ঠা ৮/* বাঙলায় এই যে ওরিয়েন্টাল আর্টের facet দেখা দিয়াছে-- এই .প্রাচ্য চিত্রকলা পুনরুজ্জীবনের সময় চীন জাপানের চিত্রধারাও গোপনে গোপনে বেশ Patera গিয়াছে | প্রসঙ্গত উল্লেখ sal চলে, হিন্দুদিগের চারিটি স্থাপত্য-যুগের বিবরণ পাওয়া যায়। কোণারক মন্দির বাঙালী শিল্পের পরিপূর্ণ বিকাশের sae foe) হণ্টার সাহেব ইহার Gee fas প্রশংসা! করেন-_“18 concen- trates in itself the accumulated beauties of the four architectural centuries of the Hindus......it forms the climax of Bengal art and wrung an unwilling tribute even from the Hunter’s Orissa, p. 29. ফগুসন সাহেব তাহার স্থাপত্যের ইতিহাসে লিখিয়াছেন হিন্দু TINS সম্পূর্ণ একটি মৌলিক বস্তু (purely indigonous ). কিন্তু আমরা, স্থাপত্য আলোচনা করিব না। জয়নগর, মজিলপুর এবং উত্তর বঙ্গে যে সমস্ত fag ও শক্তি of বাহির হইয়াছে তাহা বাঙলার ভাস্কর্য্যের গৌরব | হিন্দু চিত্রকলার রিনেস' যুগ খ্রীঃ ত্রয়োদশ শতক হইতেই আরম্ভ হয়। অনেক্কের মতে ইহা নব জ্ঞাগরণ নয়। Fal একটি নূতন eta! একটি নূতন বেণী । আমরা ক্রমে সেই ফনল্তধারার ত্রিবেনীর সন্ধান পাইতেছি। একটি ইরাণী, একটি হিন্দু, একটি চৈন। এই মুক্তবেণী মিশিয়াছে যুক্তবেণী হইয়া! ভারতের ত্রিবেণী সঙ্গমে | আমরা কিন্তু খু জিতে বাহির হইয়াছি একটি মাত্র উৎস-_ বৈষ্ণব চিত্রের উৎস। আর সেই উৎসের বিহার ক্ষেত্রের--তাহার খুটভূমিকার দৃশযাও দেখিতে চাহিয়াছি। কিন্তু ত্রিবেনীর টানে কোথায় গিয়া পড়িলাম ? abl যে ত্রিবেশীর টান, আগে তাহা বুঝিতে পারি নাই ! উৎসমুখে যাইতে উজাইতে হইবে অনেক দূর | একট! কথা বলিয়া যাওয়া ভাল মনে করিতেছি। পটভূমিকায় কি অপূর্ববত্ব আছে যে তাহা দেখিবার sy আমর| এত ব্যাকুলতা দেখাইতেছি? ইহা হয়তো অনেকেই ভাবিতেছেন। আমরা ব্যাকুলতা দেখাইতেছি কেন জানেন? এই সব বৈষ্ণব চিত্র দেখিলে মনে হইবে, Sa যেন এক একটি আনন্দোৎসবের মূর্ত ছবি। বৈষ্ণচবের ভক্তিশ্রদ্ধা প্রীতির xe চন্দন যেন প্রত্যেকটিতে মাখানো। ইহার পশ্চাতে নিশ্চয়ই কোনো সুষমার আকর আছে। অথবা ইহা কি পন্ধজ? Te হইতে শতদল জন্মায়। কিন্তু সকল দেবতারই পাদপীঠ এই শতদল। পক্ক হইতে জন্ম হইলেও শতদল শোভা পরম রমণীয়। বৈষ্ণব চিত্রকরগণ যে ভাবধারা নিয়া যাহা আকিয়াছ্ছেন তাহার পশ্চাতে যে প্রেরণা আছেঃ তাহাও জান| একান্ত ws! নতুবা চিত্রবস্তুর সবটুকু রস উপলব্ধি eal যাইবে না। চিত্রবস্তুর মানে করা যাইবে না। চিত্রকরকে চেনাও যাইবে না। একটা প্রসঙ্গ ভাল করিয়া বলা হয় নাই, তাহা সারিয়৷ যাই। বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে একমত যে ত্রয়োদশ শতকে হিন্দু চিত্রকলা মুসলমান চিত্রকলা দ্বার! প্রভাবিত । ইহা কি রাজগ্রীতি বা রাজভীতি? ইরাণী- ভাব fey চিত্রকরদের মুগ্ধ করিল কেন? গুলাব ও কবিগণের বিনোদোষ্যান রূপ সৌন্দর্য্যের আধার ইরাণের চিত্রকলার মধ্যে নিবার মতো লোভনীয় কিছুই কি ছিল না? রস অপর রসকে আকর্ষণ করে, রূপ চায় রূপকে। এখানে Stal বুঝি সমধন্মী eka গিয়াছিলেন। কিন্তু কি কারণে এই মিশ্রণ হয় এসব কথা ভাল Siam কেহ বলেন নাই। Mohumedens”— Canes চিত্রেন্র Bene state =Sefs=ri ক ভগিনী নিবেদিতার মন্তব্য নিরপেক্ষ বলিয়া! মনে হয়। সভ্যতার ক্রম- বিকাশের ধার| আলোচনা প্রমঙ্গে তিনি বলিয়াছেন-- “এশিয়া gece বিরাট এক সভ্যতার উদ্ভব হয়। বে ভূখণ্ডের প্রাম্তসীমা মিশর, আরব, গ্রীস, ভারত ও চীন-_-সেই দেশই এই সভ্যতার crate) তন্মধ্যে মিশর ও আরব সত্যতা ধ্বংস হইয়াছে। গ্রীস ও প্রধানতঃ ভারত এই সভ্যতার আকরভূমি eal রহিয়াছে। %এই ভারতেই-_জগতের আর কোথাও নয়--সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারা আমরা অনুমন্ধান করিতে পারি। * * * দৃঢ় মেরুদণ্ড বিশিষ্ট জাতির ন্যায় ভারতবাসী অন্য দেশের নূতন আদর্শকে পরীক্ষা করিয়াছে |e ww সাধ্যমত BHF দূরে রাখিয়া--গ্রহণ করিয়াছে ধীরে ধীরে । কত সব শক্তিশালী জাতি spat সভ্যতার (চাকায়) একটা ফাকে জড়াইয়া গিয়া কেমন যেন স্বিরভাবে নিজেকে মিশাইয়া দিয়াছে ( * * * settle down in the interstices of the Brahmanical civiliza. tion « x «) কিন্তু (ভারতে) মুসলমান আগমনের পর এই আদান- প্রদানের ইচ্ছা-অনিচ্ছ! রুদ্ধ হইল--ভারতকে মুসলমান vf ও ভাবধারা নিতেই হইল” ।-- Myths of the Hindus & Buddhists—Sister Nivedita and Ananda Coomarswami, pp 1-2. যাহা সত্য তাহাকে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিতেই হইবে। গৌরবের হইলেও তাহা আছে, অগোৌরবের হইলেও তাহা আছে। হিন্দুর জাতিধর্শ্মের ন্যায়, তার স্বাপত্য ও চিত্রকলায় মুসলমান সংসর্গ প্রত্যক্ষ কর! যাইঞ্চছে। কিন্তু বাঙলার 'চিত্রপট' মুসলমান ধারা বহন করে ন|। এই সমস্ত চিত্রপট বাখারির ফ্রেমে ন্যাকড়ার উপর মাটী লেপিয়া৷ জমি করা! হইত । ক্রমে ইহা হইতে ছাপা পটচিত্র প্রবর্তিত হয়। ইহারই টানে টানে আর একটা প্রসঙ্গ আসে-_যুঘল সভ্যতার প্রসঙ্গ ভারতের বুক জুড়িয়া আছে তার কীঙ্তিকাহিনী। তা বুক জুড়ানো যত হোক আর না-ই ATE! আমরা এখানে খুব সংক্ষেপে তার উপর firm চোখ বুলাইয়া যাইব। ভারতের রাষ্ট্রপটের দিক্দর্শন করিতে তাহা খুব দরকার | এই মুঘল সভ্যতার অভ্যুদয় হয় ইরানী ও হিন্দু সভ্যতার মিলনে | থোদ জাহাঙ্গীরের রাজপ্রাসাদ এই হিন্দু স্থাপত্য ও ইরাণী স্থাপত্যের সমম্বয়। স্থাপত্যের যেমন একটি নিদর্শন দিলাম চিত্রেরও তেমনি একটি দিতেছি। তাহা বৃন্দীবনবাদী হরিদাসের ছবি। তানসেনের গুরু হরিদাসকে দেখিতে আকবর বৃন্দাননে যান। তার আগে বৃন্দাবন AIGA হয়-_মামুদ্র গজনী ও মহম্মদ তোগলকের কৃপায়। আকবরের সময় বৃন্দাবন ফের কিছুটা গুছাইয়া উঠিয়াছিল। আকবর বৃন্দাবনে হরিদাসকে দেখেন । তার যে চিত্র আছে সেই চিত্রের কথাই বলিতেছি। আঁগরার যাদুঘরে এই চিত্রধানি আছে । চিত্রধানিতে ইরাণী ও fey চিত্রধারার সমাবেশ দেখা যায়। ইহা খ্রীঃ যোড়শ শতকের শেষের দিকের ভারতীয় চিত্রকলার একটি নিদর্শন। মোগলদের সময় হিন্দু মুসলমান মিলন ভালভাবেই হইতে থাকে। qe যৌন সম্পর্ক aie হয়। তানসেন আকবরের জামাতা হন। মহাপ্রভুর সময় হুসেন সাহ বাঙলায়:একটা মিলনের চেষ্টা করেন। তিনি আবার বাছিয়া বাছিয়| জামাতা করিতেন ব্রাহ্মগু্দর"ছেলে নিরা। কিন্ত যেখানেই .এই যৌন সম্পর্ক হইয়াছে সেখানেই হিন্দু জাতি হারাইয়াছে। রামমোহন শৈব হি দুয়ানী মতে যবনী বিবাহ করিলেন। পাঁতিও দিলেন। তার পৈতারও জাতি গেল ali কিন্তু ডারই সমাজে তার বিধান টিকিল ai হিন্দু সমাজে তো নয়ই। তা' যতই তাছা শত্তু- শাসন হোক A রামমোহনের এই জাত-বীচানোর রহস্তটা কি?-_ থাক সে কথা। আমাদের আলোচনার অনেক ahaa সে কথা। HAT লঙ্ঘন করিতে হয় সেখানে যাইতে ।



Leave a Comment