For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)[ ১৮] সমগ্র গ্রন্থট বারোটি অধ্যায়ে রচিত। প্রথম অধ্যায়ে অক্ষয়কুমার ও
দেবেন্দ্রনাথের জীবন ও ব্যক্তিত্বের বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। এই
প্রসঙ্গে উভয়ের জীবন ও ব্যক্তিত্বের যুগ-পটভূমিকায় উনবিংশ শতকের সমাজ-
ধর্মশিক্ষা প্রভৃতির বিশদ ইতিহাসও afro হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে
সপ্তম অধ্যায় পর্যন্ত অক্ষয়-রচনাবলীর পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি ও আলোচনা করা
হয়েছে। তার রচনাকে বিষয় অনুযায়ী সাহিত্য, নীতি, বিজ্ঞান ও ইতিহাস
এই চার শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে অক্ষয়-ণরচনার উপর
পাশ্চাত্ত্য প্রভাব সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার যাথার্থ্য বিচারের জন্য মূল
রচনাগুলির সঙ্গে তুলনা করে প্রকৃত তথ্যও উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয়
এবং তৃতীয় অধ্যায়ে তথ্যসহ আলোচনা করে দেখানো হয়েছে অক্ষয়কুমার-
রচিত যে সকল পুস্তক তখনকার দিনে ছাত্রপাঠ্য পুস্তক রূপে খ্যাত ছিল
(যেমন; চা. পা. ১, ২, ৩ রা পদার্থবিদ্যা ) সেগুলি বাংলা গদ্বের ক্রমবিকাশের
ইতিহাসে কত ওরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। Ww অধ্যায়ে
অক্ষয়কুমারের sta এবং তার রচনার আলঙ্কারিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে
পু্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রধানত শব্দসম্পদ, বাক্যবিল্যাস, যতি-
চিহ্ন, অনুচ্ছেদ রচনা, ভাষণকলা ( Rhetoric : Figure of Speech )
এবং সামগ্রিক আলঙ্কারিক আবেদন এই ছটি দিক থেকে তার রচনার Stal
বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই সঙ্গে রচনার ভাষাগত স্বভাব নিরূপণের জন্ম
বহু ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানমূলক প্রমাণ উপস্থিত করা হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে
অক্ষয়কুমারের বৈজ্ঞানিক পারিভাষার মূল্য বিচার কর] হয়েছে। বৈজ্ঞানিক
পরিভাষার ব্যবহার এবং নূতন সৃষ্টি, উভয় ক্ষেত্রেই Sta নৈপুণা সম্পর্কে
অক্ষয়-পূর্ব, সমকালীন এবং পরবর্তীকালীন বৈজ্ঞানিক পরিভাষার একটি
তুলনামুলক বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। অফ্টম অধ্যায় থেকে দ্বাদশ অধ্যায় পর্যন্ত পাঁচটি অধ্যায়ে দেবেন্দ্রনাথের
রচনার বিস্তৃত পরিচয় বিষয়ানুযায়ী শ্রেণীবিভাগ ও সেগুলির ভাষা ও
সাহিত্যিক মূল্য বিচার করা হয়েছে। মুখ্যত ধর্মসাহিত্য, পত্রসাহিত্য এবং
আত্মজীবনী-সাহিত্য এই তিন বিষয়ক রচনায় দেবেম্দ্র-রচনাবলী সম্পুূর্ণ।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে দেবেন্দ্রনাথের ত্রাগ্ধধর্ম-বিষয়ক রচনাগুলির
স্থান কোথায় এবং এই সকল রচনায় বিদেশী প্রভাব সম্পর্কেও বিশদ এবং