কিসের তরে অশ্রু ঝরে | Kiser Tare Ashru Jhare

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ তাপসীকে এর ফলে আমি স্বামী পেয়েও স্বামীর মানসিক নৈকট্য পেলাম না, প্রতিরক্ষা পেলাম না, মন গেলাম না। আর ওরা বৌ পেলেও আমাকে পেল না! এই অবস্থায় যে টানাপোড়েন, যে tension যে বিরোধ তা ধিকি ধিকি worse লাগল। এই মানসিক যাতনা থেকে ছুটি পাবার জন্যে অনেক চেষ্টায় কাশ্মীর যাবার পরিকল্পনা করলাম। গেলাম। ফিরেও এলাম। কিন্তু মানসিকতার বিন্দমান্লও পরিবর্তন কোথায়ও ঘটল না। কেবলমাত্র দুটি লাভ হল। এক অধ্ক্ষয়, দুই সন্তান সম্ভাবনা সঙ্গে নিয়ে ফিরলাম অথবা বলা যায় আমার (AA অথবা I — ক্রমশ প্রকাশ্যকে সঙ্গে করে নিয়ে এলাম। এই agro দিনগুলো আমি একেবারেই তুলতে পারি না। একদিকে স্বামী আমার যত্ন নিতে চায়, বিকেলগুলো ডাক্তারের নির্দেশে বেড়ানোয় কাটে, অনেক কথা বলার সুযোগ পাই। অন্যদিকে শাশুড়ি এবং পরিজনদের সংস্কার আর কুসংস্কার মিলে আমার সকাল-দুপুর-বিকেলগুলো নাস্তানাবৃ্দ হতে থাকে। আমার শরীরের মধ্যে আর একটা প্রাণ যেমন প্রথম প্রথম আমার প্রানান্ত অস্বস্তির কারণ হয়ে বেড়ে উঠছিল, তেমনই আত্মীয়-পরিজনরা সবাই মিলে আমাকে অশান্তিতে রাখবার চেষ্টা করেই চলেছিল ওদের মনে বোধ RA ভয় আরও বেশি হয়ে উঠছিল | যদি আমার স্থামী এবারে তার মা ও স্ত্রীর দ্বদ্দ্বের মধ্যে না থেকে সন্তানের আর্কষণে Haat 'জননী”-কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলে ? আমি আর শুধুমাত্র স্ত্রী নই, ঘরের বউমাত্র নই। আমি মা হতে চলেছি ? সকলে মিলে শাশুড়িকে মাধ্যম করে একদিকে আমার চারধারে অসংখ্য গণ্ডি টানতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, আর অনাদিকে তাদের সন্তানকে, আমার স্বামীকে, তার করণীয়-অকরণীয় বিষয়ে নির্দেশ দিতে থাকল। ফলে আমার বাইরে বেড়ানো TH হয়ে গেল, আমার স্বামী নৈকট্য আবার BETH বসল। মাতৃবৎসল পুত্র Wl আমার নৈকটাটুকু বাতিল করে দিতে থাকল! যে প্রীতিপূর্ণ উজ্জ্বল ভালবাসার সূর্যতাপ স্বাভাবিক ভাবেই আমার জীবনে আলো ফেলতে শুরু করেছিল সেই আকাশে ক্রমশ মেঘের আনাগোনা এবং শেষকালে ঝড়ের সংকেত দেখা দিল। আবার সংঘাত! ছেলে 'ভাল-ছেলে' মাতৃবৎসল ছেলে হতে গিয়ে আবার পুনমৃষিক হল। আমাদের মধ্যে আনার ঝগড়া, WOT এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের শুরু হতে দেরি হল না। আগের সব tense মুহূতগুলোকে ওরা আরও তীব্র করে তুলেছিল । আমার নির্ভরতাকে ওরা বা্গ-বিদ্রপে টিকা-টিপপনীতে কাতর করে ফেলছিল, আর যত আমি আমার বাড়ি, আমার বাবা আমার ফেলে আসা পরিবেশের কথা মনে করছিলাম ওরা ততই আমাকে নিযাতনের চেষ্ঠা করে যাচ্ছিল। ক্রমশই আমার স্বামীগহ আমার কাছে শত্র পুরী বলে মনে হচ্ছিল। ঝগড়া-ঝাটি মারামারি চিৎকার চেঁচামেচি সবই বেড়ে যেতে দেরি হল না। বাবাকে আমি কিছু aig জানালাম। তিনি ছুটে এলেন । আমাকে সান্ত্বনা দিলেন । ইতিকর্তব্য বিষয়ে পথনির্দেশ করলেন এবং একখানা বই আমাকে পড়তে দিয়ে গেলেন। বলে এলেন শ্বশুরমশাই-এর সাহায্য নিয়ে বইটা পড়তে এবং প্রয়োজনীয় জায়গাগুলো বাংলা করে বুঝে নিতে বলে এলেন মাতে আমার শাশুড়িও জানতে পারেন | ফল হল বিপরীত ! “বই পড়ে জানে Wa, বেশি পড়লে লোক বেশি মূখ হয়ে যায়। প্রসব করতে বই পড়তে হয় না। বই-এর তুলনায় মা-মাসিরা অনেক বেশি জানে......” বাবাকে এবং আমাকেও লেখাপড়া নিয়ে কষ্ু-কাটব্য করতে ওদের আটকালো মা। ঘাত-প্রতিঘাত, চাপান-উতোর বাক্‌-বিতণপ্ডা বাড়তে বাড়তে মাঝে মাঝেই এবারে বিস্ফোরণ হতে দেরি হল না। আমার স্বামী এবারে আমাকে পথে আনার জন্যে, আমার শাশুড়ি আমাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবার জন্যে উঠে পড়ে লাগলেন। আমার জেদ এবং তীব্রতাও সেই পরিমাণে বাড়তে লাগল। অসহনীয় অবস্থা। আশেপাশের লোকেরা এবারে আমাদের ভিতরের খবরাখবর জানতে পারছেন | জানলার ধারে



Leave a Comment