ফুলবর্ষিয়া | Phulbarshiya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মুখে বিহারের রুক্ষতা। ইতিমধ্যেই মোটা কালো ঘন গৌঁফ তাকে গম্ভীর করে তুলেছে। অপরিচিত পরিবেশে ও কৌতূহলে চোখের দৃষ্টি কিশোরের ওঁৎস্থুক্যে ভর] | গলায় একটা লোহার মাছুলি। ছেঁড়া কামিজের ফাঁক দিয়ে বুকের মাংসপেশী দেখা যাচ্ছে। মাথায় গামছা He লাঠির ডগায় ছোট একট। পুটলি । সাধুদের আস্তানার অদূরেই সে থমকে দাড়াল । রাস্তাটার grit carte এদিকে ওদিকে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ফুলের সমারোহ । বটের তলায় ঘুমোচ্ছে কয়েকজন Aly ql দিকের মাঠের ওপর cael) জোয়ারের ভরা গাঙ্গ বয়ে চলেছে উত্তরে । চারিদিক নিঝুম। এমন সময় চমকে দিয়ে বুনে ঝোপের জঙ্গল নড়ে উঠল আর তার ভেতর থেকে হুড়মুড় করে বেরিয়ে এল ফুলবধিয়া। গায়ে জামা নেই, আচল তেমনি চেপে ধরা। রামবচনকে দেখেই দে থমকে দাড়াল। চকিতে তার চোখে আলো ফুটে উঠল। দেখেই সে বুঝে নিয়েছে, এ এক আনকোর), মুল্কি আদমি। আর শিউবচনের ছাপও রয়েছে জোয়ান মানুষটার মুখে। সে cole টিপে হেসে বাঁক৷। চোখে তাকিয়ে বলল, “ক হো মরদ, কোথা থেকে আসছ 1' রামবচনের অজ পাড়ার্গেয়ে মম একটু ভড়কে গেল। কিন্তু ফুলবধিয়ার চাউনি যেন তীরের ডগায় রং মাখিয়ে ছুড়ে মারল তার বুকে । তবু হাসতে সাহস পেল না সে। বারকয়েক গৌঁফ হাতিয়ে সে বলল, “মুল্ক্‌ থেকে আসছি ॥ “মুল্ক্‌ কঁহ। বটে ? “বিহার ॥” 'আচ্ছা।” সংশয় কাটল খানিক ফুলবধ্িিয়ার। তার বাঁকা চোখের তীব্র ক্ষুধার্ত দৃষ্টি খুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল রামবচনকে | তারপর কি মনে করে সে তাড়াতাড়ি Bon দিয়ে শরীর 4



Leave a Comment