ত্রিপুরার উপজাতীয় আদিধর্ম নৃত্যকলা ও দেবদেবী | Tripurar Upjatiya Adidharma Nrityakala O Devdevi

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ত্রিপূরার উপজাতীয় আদিধর্ম, নৃতাকলা ও দেবদেবী আর্থিক ও রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক কৌশলের শিকার হয়ে পড়ছে। এই সব জনগোষ্ঠীর আর্থিক আনুকূল্যের উপায়, শ্রমশক্তি অবহেলিত ও fry মানের মর্যাদায় পর্যবসিত। এইসব অপকৌশলের VIC পড়ার কারণ অশিক্ষা, সরলতা এবং মানসিক চেতনার অভাব, বংশগত ও সামাজিক সংস্কার রুচি ও অভ্যাসই দায়ী। বর্তমানে মানুষ আধুনিক সভ্যতার প্রকৌশলে ও জীবনধারণের ক্ষেত্রে বহু দূর অগ্রসর হয়েছে। সেই নিবিড় অরণ্য, জনসংখ্যার অল্পতা, বনজ সম্পদের প্রাচুর্য, সিংহ, ব্যাঘ্র, হিংস্র বন্যজস্তর ভয়ভীতি, সরলতার স্থান ও সময় বর্তমানে আর নেই। জগত পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তনের সংগে আচার অনুষ্ঠান, পূজা- অর্চনা, পেশা, মানসিকতা, রুচি-প্রবৃত্তি সবকিছুই কালের সঙ্গে সঙ্গতি ও সংহতি রেখে ব্যক্তি বা জাতির মানসিক রুচিকে গঠন করে নিতে হবে। সুতীত্র ইচ্ছাশক্তি দ্বারা প্রয়োজনীয় কর্তব্য কর্ম সম্পাদনে বর্তমানের সঙ্গে সমতালে চলতে হবে -- তবেই আর্থিক সামাজিক অবস্থার কালোপযোগী পরিবর্তন ঘটবে | সততা, সরলতা. প্রেম, লজ্জা, ঘৃণা, উদারতা প্রভৃতি মানসিক গুণাবলী মনুষ্যত্বের উপাদান | মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও মানবসুলভ আচরণই ধর্মের সোপান। হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা প্রভৃতি ধ্বংসাত্মক মনোবৃত্তি নিজেকে ও অন্যকে নিম্নস্তরে, ঘোর দুঃখ- দুর্দশায় অবনমিত করে। সুতরাং মানসিক উৎকর্ষ ও গুণাবলী সহ সকলের afew কর্ম আচরণে চিরস্থায়ী পেশা নির্বাচন করতে হবে। অন্যের দুঃখদায়ক কর্ম ও আচরণে উপার্জনের প্রচেষ্টা, পাপ পথে, ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়! সুতরাং কালের বিবর্তনে পূর্বে উল্লেখিত দেবদেবীর কিছু পূজা অর্চনার প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবে TSS হয়ে এসেছে। কারণ অতীতের সেই গভীর বন আর নেই, হিংস্র wea উপদ্রবও আর AZ| সেই সব ASIA বর্তমানে টিকে যাচ্ছে স্বাভাবিক ও যৌক্তিকতার কারণেই | উপযুক্ত । পরিবেশ ও মানসিক পরিবর্তনে ও কালের ব্যবধানে কোন কোন দুর্বল দেবতার দেবত্ব খসে পড়তে বাধ্য। বর্তমানে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে ওযধাদি সেবনে রোগ, নিরাময় বা আরোগ্য হলে, ব্যয়সাপেক্ষ পূজাদি বর্িতি হতে বাধ্য। তাতে অপসংস্কৃতি দূরীভূত acd এবং তাতে সংস্কৃতির অঙ্গহানি। বরঞ্চ উচ্চ সংস্কৃতি গ্রহণে ও ধর্মের আশ্রয়ে উন্নততর হবে। বহু দেবদেবী পূজার প্রয়োজনীয়তা আছে। পূজার মাধ্যমে পার্বণ, পার্বণের মাধ্যমে উৎসব, আনন্দ ও জনসংযোগ হয় এবং পারস্পরিক মিলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। চিন্ত বিনোদন সুপ্রবৃত্তি জাগরণের সহায়ক হয়। শুধু রোগ নিরাময়ের প্রয়োজনে, লোক চক্ষুর অস্তরালে অল্প সংখ্যক লোক বনে, উপবনে যে সব দেবতার AB ১৬



Leave a Comment