For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এইক্ষণে মূর্খ লোকদিগের ন্যায় কাষ্ঠ লোষ্ট্রেতে ঈশ্বর-বুদ্ধি করিয়া তাহাতে পূজা করিতে
তাহাদিগের প্রবৃত্তি হয় না। MICA প্রচার অভাবে, ঈশ্বর নিরাকার, চৈতন্য-স্বরূপ, সর্বগত,
বাক্য মনের অতীত, ইহা যে আমাদের শাস্ত্রের মর্ম, তাহা তাহারা জানিতে পারে না।
সুতরাং আপনার ধর্মে এ প্রকার শুদ্ধ PATS না পাইয়া অন্য ধর্মাবলম্বীদিগের শাস্ত্রে তাহা
অনুসন্ধান করিতে যায়। তাহাদিগের মনে এই দৃঢ় আছে যে, আমাদিগের শাস্ত্রে কেবল
সাকার উপাসনা; অতএব এ প্রকার শাস্ত্র হইতে তাহাদিগের যে শাস্ত্র উত্তম বোধ হয়, সেই
শাস্ত্র মান্য করে। কিন্তু যদি এই বেদাস্ত-ধর্ম প্রচার থাকে, তবে আমাদিগের অন্য ধর্মে
কদাপি প্রবৃত্তি হয় না। আমরা এই প্রকারে আমাদিগের হিন্দুধর্ম রক্ষায় যত্ন পাইতেছি।” ১৩ এই সভায় অক্ষয় দত্তও TSS! BAA | দ্বারকানাথ বিলাত যান ১৮৪২-এর ৯ জানুয়ারি। এই বছর দেবেন্দ্রনাথ অবসন্ন
ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি ভাবলেন, “যখন ব্রাহ্মসমাজ IAM AANA জন্য স্থাপিত হইয়াছে, তখন ইহার ACH তত্ত্ববোধিনী সভার যোগ দিলে আমাদের সংকল্প তো আরও অনায়াসে সিদ্ধ হইবে।” ১৪ এইরূপ চিন্তা করে এবং ব্রাহ্মসমাজের উন্নতিকল্গপে
দেবেন্দ্রনাথ তার তত্তবোধিনী সভার সঙ্গে রামমোহন-প্রবর্তিত ব্রাহ্মসমাজের মিলন ঘটান।
সেটা ১৮৪২-এর এপ্রিল মাস। ওই মাসেই প্যারীচীদ মিত্র প্রভৃতির সহায়তায় রামগোপাল ঘোষ The Bengal
Spectator নামে ইংরেজি-বাংলা এক দ্বিভাষিক wi Pre পত্র প্রকাশ করেন। “এই পত্রে নব্য
যুবকদল সাধ মিটাইয়া আপনাদের উদার মত সকল প্রচার করিতে লাগিলেন” ১৫ পাঁচ
মাস মাসিক পত্রিকারূপে চলে সেপ্টেম্বর থেকে পাক্ষিক, এবং ১৮৪৩ মার্চ' থেকে
সাপ্তাহিক হয়ে নভেম্বরে বন্ধ হয়ে যায়। ১৮৪৩-এর জুন মাসে একদিকে দেখি কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ডেভিড হেয়ারের
মৃত্যু; অন্যদিকে দেখি বাংলা ভাষায় নূতন একখানি মাসিক পত্রিকার আত্মপ্রকাশ টাকী-
নিবাসী প্রসন্নকুমার ঘোষের সহযোগিতায় অক্ষয়কুমার দত্ত “বিদ্যাদর্শন' নামে একটি মাসিক
পত্র প্রকাশ করেন এই জুন (আষাঢ়) মাসে প্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে বলা হয়-_ ‘QS পত্রে এমত সকল বিষয়ের আলোচনা হইবেক, যনদ্দ্বারা বঙ্গভাযায় লিপি
বিদ্যার বর্তমান রীতি উত্তম হইয়া সহজে ভাব প্রকাশের উপায় হইতে পারে, WHAT
নীতি ও ইতিহাস, এবং বিজ্ঞান প্রভৃতি বহু বিদ্যার বৃদ্ধি নিমিত্ত নানা প্রকার গ্রষ্থের অনুবাদ
করা যাইবেক, এবং দেশীয় কুরীতির প্রতি বহুবিধ যুক্তি ও প্রমাণ দর্শাইয়া তাহার নিবৃত্তির
চেষ্টা হইবেক।” ১* বিদ্যাদর্শন পত্রিকা মাত্র ছয় মাস চলেছিল। প্রগতিশীল সমাজ সংস্কারের আদর্শ
সুপরিচালিত এই পত্রিকার প্রতিটি রচনায় সুপরিস্ফুট। ১* দ্বারকানাথের বিলেত যাত্রার কথা কিছু আগেই বলেছি। সেই বিলেতে বসেও
বাংলাদেশের শীীবৃদ্ধির জন্য তাঁর মনের ব্যাকুলতা লক্ষ্য করা যায়। বেঙ্গল স্পেক্টেটর
পত্রের > নভেম্বর ১৮৪২ সংখ্যার একটি সংবাদের কিছু অংশ উদ্ধৃত করি : ১৮