For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ঠাকুরের ওপর | বুড়ো সাপের বাতব্যাধি হওয়ায় যজমানী কাজে ছোকরাই আসত কি না ।' 'তারপর ৮ 'তারপর আর বলবার মত কথা নয় | নানা CHCA ব্যাপার | এই দুর্ঘটনার পর থেকে মেয়ে,
মন্দির, মদনমোহন, স্ব কিছুর ওপরই কর্তা ক্ষেপে গেছেন | কার ঘাড়ে দুটো মাথা আছে যে মূর্তির
কথা তাঁকে মনে করিয়ে দেয় ?' ম্যানেজার আর একবাব দেবমুর্তিটির দিকে তাঁকালেন | “কিন্তু যাই বলুন মূর্তিটি ভারি চমৎকার
হয়েছে আপনার | অবশ্য মুখে দেবভাবের কিছু অভাব আছে | যা হোক, আমি তো আর জমিদার
নই, তাঁর সামান্য কর্মচারী মাত্র, তাঁর মত অত টাকা তো আর আমি দিতে পারব না । শ'দুয়েক
টাকার মধ্যে যদি দেন আমাকে, মূর্তিখানি আমি নিয়ে যাই ।' ক্রোধে বিকৃত হয়ে উঠল অবিনাশের মুখ | ‘OTe না ধন্যবাদ ।' পাশের ঘর থেকে জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে রেবা সব শুনছিল আর সকৌতুকে হাসছিল,
অবিনাশেব কর্কশ কণ্ঠে চমকে উঠল | রাঁগলে যেন আরও বেশি কুশ্রী দেখায় অবিনাশের মুখ | আর
তারই পাশে চোখে পড়ল মদনমোহনের মূর্তি, স্থির প্রসন্ন হাসি মুখটিতে অনুক্ষণ লেগে রয়েছে।
সত্যিই ভারি সুন্দর হয়েছে তো মূর্তিখানা | মনে মনে কথাটা Gal আবৃত্তি করলে | ম্যানেজার বিদায় নিলে রেবা ছুটে এল ঘরে, 'এই শোন, মূর্তিটি কাউকে বিক্রি করতে পারবে না
কিন্তু, ওটি আমি নেব. ভারি চমৎকার হয়েছে ।' অবিনাশ শ্লেষের হাসি হাসল, 'ম্যানেজারের মুখ থেকে কথাটা মুখস্থ ক'রে নিয়েছ বুঝি ।' 'বাঃ ? তা কেন ? সত্যি আমার ভারি ভালো লেগেছে ।' অবিনাশ বলল, 'তাই নাকি ? আমার অসীম সৌভাগ্য | কিন্তু দু'দিনের মধ্যে হাজার টাকায়
মূর্তিটি বিক্রি হয়ে যাবে দেখে নিও ।” রেবা বলল, 'হাজার টাকা তুমি আমার কাছ থেকে নিয়ো | গয়না বেচে শোধ দেব ।' সরোজিনী শুনে হাসলেন, “BM শোন /ময়ের | নেশ তো অবিনাশ | সখ হয়েছে বৌমার, রাখুক
না । তোর স্টুডিয়োতেও তো কত মূর্তি তুই নিজে সখ করে রেখে দিয়েছিস | আর খদ্দের যদি
আসলেই, তা হলে না হয় বিক্রি করে দিবি, তাতে কি | রেবা মনে মনে বলল, “ষ্ট দিলেই হ'ল আর কি | একবার গাকুর-ঘরে নিয়ে যেতে পারলে এ মূর্তি
সেখান থেকে বার করে আনবে সাধ্য কার । মা নিজেই আপত্তি করবেন তখন ।' অবিনাশ কি এক কাজে বাইরে গিয়েছে | সরোজিনী মেঝের ওপর শীতলপাটি বিছিয়ে
চৈতন্য-চরিতামৃত পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছেন, সেই ফাঁকে মণিরামের সাহায্যে মূর্তিটি একেবারে
ঠাকুরঘরে নিয়ে বসিয়ে রাখল রেবা | একেই সকাল থেকে অবিনাশের মেজাজ খারাপ হয়ে আছে, তারপর তার বিনা অনুমতিতে রেবা
এই Fe করেছে দেখে তার ধৈর্য একেবারে লোপ পেল | অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করল
রেবাকে, সরোজিনীকেও কসুর করল না, আর মণিরামকে ঘাড় ধরে বের করে দিল বাড়ি থেকে ।
রেবার চোখ ফেটে জল আসতে লাগল, আর সেই সঙ্গে বার বার মনে হতে লাগল রাগ করলে এত
PH দেখায় অবিনাশকে A, তার দিকে একেবারেই চাওয়া যায় না | সন্ধ্যার পর ক্রমেই অবশ্য মেজাজটা পড়ে এল অবিনাশের ৷ পরিপার্টি ভোজনের পর চিত্ত বেশ
প্রসন্ন হয়ে উঠল | সত্যি, এত কাণ্ড না করলেও চলত | মনে মনে বেশ লজ্জিতই হল অবিনাশ |
বিছানায় শুয়ে ঢুরুট টানতে টানতে মনে মনে অবিনাশ প্রতিজ্ঞা করল, মূর্তিশিল্প আর না, এবার
থেকে জীবন-শিল্পের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে | মার কাছে আগেই ক্ষমা চেয়েছে | Gat এলে তার
কাছেও মার্জনা ভিক্ষা ক'রে বলবে, 'মূর্তিটা তোমাকে দিয়ে few’ এতদিন পরে শিল্পবোধ
CHUTE তা হলে রেবার, শিল্পকে সে ভালোবাসতে শিখেছে | খাওয়া-দাওয়া সেরে রেবা যখন ওপরে এল, অবিনাশের ততক্ষণে নাক ডাকা আরম্ভ করেছে |
রেবা মুহূর্তকাল স্বামীর মুখের দিকে তাকাল | এতাদন ভালো করে চেয়ে দেখেনি | আজ মনে হল, VX