চিঠিপত্র [খণ্ড-৩] | Chithipatra [Vol. 3]

লোকজনের মধ্যে যখন জড়িয়ে থাকি তখন ছোট বড় নান৷ বন্ধন চারদিকে ফাঁস লাগায়-- নানা আবর্জনা জমে ওঠে-- দৃষ্টি আবৃত এবং বোধশক্তি অসাড় হয়ে পড়ে-_ তখন কোথাও পালিয়ে যাবার জনে মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে ৷ যিনি অপাপবিদ্ধ Praia পুরুষ, যিনি চির জীবনের প্রিয়তম, তার মধ্যে সম্পূর্ণ আপনাকে সমর্পণ করে দেবার জন্যে মনের মধ্যে এমন কান্না ওঠে যে ইচ্ছা করে AS দূরে বদ দীর্ঘকালের জন্যে কোথাও চলে যাই। যতই নানাদিকে নানা কথায় নানা কাজে মন Ae হয় ততই গভীর বেদনার সঙ্গে সুস্পষ্ট বুঝতে পারি তিনি ছাড়া আর কিছুতেই আমার স্থিতি নেই তৃপ্তি নেই-- তাকে ছাড়া আমার একেবারেই চল্বে না। কবে তিনি আমার বাসনা পূর্ণ করবেন জানি নে-- কিন্তু জোড় হাত করে কোনো প্রশান্ত পবিত্র নির্জন স্থানে তার দিকে তাকিয়ে পড়ে থাকৃতে ইচ্ছা করে-- কেবল বলি-- মা মা হিংসীঃ-_ আমাকে আর আঘাত কোরো না-- আর মেরো না, আর CAA না-_ ভাল মন্দর দ্বন্দ্বের মাঝখানে রেখে আমাকে কেবলি চারদিক থেকে এমন ধাক্কা! খেতে দিয়ো না। জীবন যখন দ্বিধাবর্জিত বাসনা-মুক্ত পবিত্র হয়ে উঠুবে-- তখন লোকালয়েই থাকি আর নিজ্জনেই থাকি সর্ব্বত্রই সেই পবিত্রতার সাগরের মধ্যে সেই প্রেমের অতলস্পর্শ সমুদ্রের মধ্যেই নিমগ্ন হয়ে থাকৃতে পারব। দুঃস্বপ্ন- জালজড়িত এই অন্ধকার রাত্রির অবসানে সেই জ্যোতির্ময় প্রভাতের জন্যে মন অহরহ অপেক্ষা করচে-- সকল সুখদুঃখ, সকল গোলমাল, সকল আত্মবিস্মৃতির মধ্যেও তার সেই একটিমাত্র সত্য আকাঙক্ষা। কিন্তু চিরদিনই জীবনকে এত মায়ায় এত মিথ্যায় জড়াতে দিয়েছি যে, তার জাল কাটাতে আজ প্রাণ বেরিয়ে যাচ্চে। তা হোক্‌, তবু কাটাতেই হবে-_ সংসারের, বিষয়ের, বাসনার সমস্ত গ্রন্থি একটি একটি করে খুলে তবে যেন আমার এই জীবনের ব্রত সাঙ্গ হয়-_ স্নান করে ধৌত হয়ে নির্মল বসন পরে শুচি ও সুন্দর হয়ে যেন এখান থেকে বিদায় গ্রহণ করে তার ১১